ন্যাভিগেশন মেনু

সবাই টাকা উপার্জন করে, ট্যাক্স কতজন দেয়, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর


দেশে টাকা উপার্জন করে ও ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যুক্তরাজ্যে অনুষ্ঠিত ২৬তম বিশ্ব জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলন (কপ২৬) ও ফ্রান্স সফর নিয়ে বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হয়ে  প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় সাংবাদিকরা যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হল থেকে।

সবাই টাকা উপার্জন করে, ট্যাক্স কতজন দেয়? সাংবাদিকদের প্রতি এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের চাল, ডাল, বাড়ি-গাড়ি সবই আছে। তারপরও ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার দিকে নজর এবং এটাই বাস্তবতা। সরকারের টাকা আসবে কোথা থেকে। এখন বিদ্যুৎ সবার ঘরে ঘরে। এখানেও ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। কিন্তু উৎপাদন খরচ তুলতে পারছি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের প্রতি যে দায়িত্ববোধ, তা নিয়ে আমরা সবসময় সচেতন। করোনাকালে গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত কৃষক থেকে শুরু করে কোনো শ্রেণি-পেশার মানুষ নেই যাদের আমরা অর্থ দিয়ে সাহায্য করিনি।

তিনি বলেন, জিনিসপত্রের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। উৎপাদন বাড়ানোর সব ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আমাদের তেল কিনে আনতে হয়।

সরকার প্রতি বছর ডিজেলে ২৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রাখেন ‘কত টাকা ডিজেলে ভর্তুকি দিতে হয়? পরে তিনি নিজেই উত্তর দেন। তিনি বলেন, ২৩ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎসহ সব মিলিয়ে ৫৩ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়ে থাকি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকদের জন্য সারের দাম আমরা কমিয়েছি। যে সার ৯০ টাকা ছিল তা কমিয়ে ১৫-১৬ টাকা করেছি। কৃষিতে প্রতিটি ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়েছি। কার্ড করে দিয়েছি। এখন কৃষক ১০ টাকায় অ্যাকাউন্ট খুলতে পারে। যার মাধ্যমে ভর্তুকির টাকা সরাসরি তাদের কাছে যায়।

তিনি বলেন, করোনার সময় ব্যবসায়ীদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছি। সুদের হার কমিয়ে অর্ধেক সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য ঠিক থাকে। শ্রমিকরা যাতে বেতন পায় তার ব্যবস্থা করেছি।

অনেক উন্নত দেশ খাদ্যের জন্য হাহাকার করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, লন্ডনে সুপারমার্কেটে সাপ্লাই নেই। খাবার জিনিস পর্যন্ত পাওয়া যায় না। তবে বাংলাদেশে খাদ্যের জন্য কোনো হাহাকার নেই।

প্রধানমন্ত্রী ৩১ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত গ্লাসগো, লন্ডন ও প্যারিস সফর করেন। সফরকালে তিনি কপ২৬ সম্মেলন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ২০২১, ইউনেস্কো সদর দফতরে সৃজনশীল অর্থনীতির জন্য ইউনেস্কো-বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তর্জাতিক পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান, ইউনেস্কোর ৪১তম সাধারণ সম্মেলন, প্যারিস শান্তি ফোরাম, ইউনেস্কোর ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং অন্যান্য উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।