ন্যাভিগেশন মেনু

‘সুন্দরবনে প্রতিটি চরে পুকুর খনন করা হবে’


সুন্দরবনে প্রতিটি চরে পুকুর খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) খুলনা হোটেল ওয়েস্টার্ন ইন-এ অনুষ্ঠিত  ‘জলবায়ু পরিবর্তনে সক্ষমতা অর্জনে উপকূলীয় অঞ্চলের বিপদাপন্ন সমুদ্রগামী জেলে সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি একথা বলেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় হাবিবুন নাহার বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর মান্ধাতা আমলের ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হবে। সুন্দরবনের খালে যারা বিষ প্রয়োগ করে মাছ শিকার করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া শুরু হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুন্দরবনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে নিরাপত্তা বাড়ানোর সকল পদক্ষেপ নেয়া হবে। সুন্দরবনে প্রতিটি চরে একটি করে পুকুর খননের উদ্যোগ নেয়া হবে।  

এ সেমিনারে উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। বিষয় গুলো হল- বীমাসহ জেলেদের জন্য বিশেষ তহবিল গঠন করা ও বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট ব্যবহার করে মৎস্যজীবীদের মাঝে আগাম পূর্বাভাস দেয়া ।        

সেমিনারে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এ্যান অর্গানাইজেশন ফর সোসিও ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (এ্যাওসেড) আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সাইফুল রহমান খান, মৎস্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রণজিৎ কুমার পাল এবং খুলনা বন বিভাগের উপবন সংরক্ষক মোঃ কবির হোসেন পাটোয়ারি।

এছাড়া সেমিনারে আলোচক ছিলেন সুন্দরবন একাডেমির নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির এবং সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের উপপ্রকল্প পরিচালক সরোজ কুমার মিস্ত্রি।

 প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এ্যাওসেডের নির্বাহী পরিচালক শামীম আরফীন। সেমিনারে অংশ নেন সরকারি কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, মৎস্যচাষী, মৎস্যজীবী ও মৎস্য জেলেরা ।


এ কে হিরু/এস এ  / এস এস