বাংলাদেশের সকল অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম ও লাইকীসহ এ ধরণের সকল অনলাইনভিত্তিক খেলা ও অ্যাপস অপসারণ এবং সকল লিংক বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
এসব অ্যাপস ও গেমসয়ের আড়ালে শত শত কোটি টাকা পাচার ও লেনদেনে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ক্ষতিকর গেমস ও অ্যাপস বন্ধে বিটিআরসি’কে নিয়মিত সুপারিশ করতে প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ ও আইনজীবী সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইফ’ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাউছার বৃহষ্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিস্ট শাখায় এ রিট আবেদন দাখিল করেন।
রিট আবেদনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, শিক্ষা সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, স্বাস্থ্য সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, পুলিশ মহাপরিদর্শক(আইজি) বাংলাদেশ ব্যাংক, মোবাইল অপারেটর, বিকাশ ও নগদকে বিবাদী করা হয়েছে।
অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে টিকটক, বিগো লাইভ, পাবজি, ফ্রি ফায়ার গেম ও লাইকিসহ এ ধরণের সকল অনলাইনভিত্তিক খেলা এবং অ্যাপস বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের প্রতি গত ১৯ জুন আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। ই-মেলযোগে পাঠানো ওই নোটিশে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করা হলো।রিট এর আবেদনে বলা হয়েছে, পাবজি এবং ফ্রি ফায়ারের মত গেমস-এ বাংলাদেশের যুব সমাজ এবং শিশু-কিশোররা ব্যাপকভাবে আসক্ত হয়ে পড়েছে। এসব গেমস যুব সমাজকে সহিংসতা প্রশিক্ষণের এক কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে। ফলে সামাজিক মূল্যবোধ, শিক্ষা, সংস্কৃতি বিনষ্ট হচ্ছে।
এছাড়াও টিকটক, লাইকি অ্যাপস ব্যবহার করে দেশের শিশু কিশোর এবং যুব সমাজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হচ্ছে। সারা দেশে কিশোর গ্যাং কালচার তৈরি হচ্ছে। টিকটক অনুসারীরা বিভিন্ন গোপনীয় জায়গায় পুল পার্টির নামে যৌন কার্যক্রমে লিপ্ত হচ্ছে।
বাংলাদেশ থেকে দেশের বাইরে নারী ও অর্থ পাচারের ঘটনায়’ও টিকটক, লাইকি এবং বিগো লাইভ এর মাধ্যমে চলছে। যা দেশের এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী।রিট আবেদনে আরও বলা হয়, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ বিধায় এ বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটর করা প্রয়োজন।
এস এস