আফগানিস্তানের দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হেরাত, লস্কর গাহ এবং কান্দাহার দখল করতে তীব্র লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে তালেবান জঙ্গিরা।
৩১ জুলাই (শনিবার) বিবিসি জানায়, পশ্চিমের হেরাত শহরে তালেবানরা ঢুকে পড়েছে। লড়াই চলছে লস্কর গাহ এবং কান্দাহারেও।
শুক্রবার আফগান কর্মকর্তারা বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার সহায়তায় তারা তালেবান বিদ্রোহীদের পিছু হঠতে বাধ্য করেছেন। আজ শনিবার হেরাতে ফের তুমুল লড়াই শুরু হয়েছে।
সরকার সমর্থক ৭০ বছর বয়সী একজন গোষ্ঠী-নেতা ইসমাইল খান বিবিসিকে বলেছেন, হেরাত রক্ষা করতে তিনি মিলিশিয়াদের সাহায্য নিচ্ছেন। দক্ষিণেও তালেবান তাদের আক্রমণ তীব্র করেছে।
অন্যদিকে, হেলমান্দ প্রদেশের লস্কর গাহ শহরের ওপর বিমান হামলায় একটি হাসপাতালের ক্ষতি হয়েছে এবং একজন মারা গেছে। হাসপাতালের ভেতর কতজন ছিলেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। লস্কর গাহ তালেবানের দ্বিতীয় প্রাদেশিক রাজধানী।
শুক্রবার আফগান সরকারের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, তারা লস্কর গাহ শহরে তালেবানের অগ্রযাত্রা ঠেকাতে সমর্থ হয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় অনেক তালেবান যোদ্ধা হতাহত হয়েছে।
এদিকে একজন আফগান এমপি বিবিসিকে বলেছেন, লড়াইয়ে কান্দাহার শহরে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ঘরছাড়া হয়েছে এবং খাদ্য ও পানির চরম সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, তালেবান কান্দহার দখল করলে আরও পাঁচ থেকে ছয়টি প্রদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
আফগানিস্তান বিষয়ক ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ দূত টমাস নিকলাসন বলেন, আফগানিস্তানের যুদ্ধ আরও খারাপ দিকে মোড় নেবে বলে মনে করেন তিনি। তার আশংকা, তালেবান এখন আগের মতোই আবার একটি ইসলামিক আমিরাত পুনপ্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে।
ব্রিটিশ সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক প্রধান জেনারেল ডেভিড রিচার্ডস হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, আন্তর্জাতিক বাহিনী প্রত্যাহারের ফলে এখন আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর মনোবলে ধস নামতে পারে। যার পরিণামে তালেবান আবার আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে। সেখান থেকে আবার নতুন করে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের হুমকি তৈরি হতে পারে।
এডিবি/
