ন্যাভিগেশন মেনু

আর কতো ঝড়বে প্রাণ,দু’সপ্তাহ লকডাউনের পরেও মৃত্যুর সারি ঊর্ধ্বগতি


অতিমারী করোনার বলি থামছেই না বাংলাদেশে।প্রতিদিনই মৃত্যুর সারি ঊর্ধ্বগতি।করোনারোধে টানা দু’সপ্তাহের লকডাউন চলছে। তারপরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না কোভিড-১৯।

এ নিয়ে সরকারের কপালে গভীর ভাঁজ। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এটিই বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে টানা তিন দিন করোনাভাইরাসে ১০০-এর বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল ও গতপরশু ১০১ জন করে মারা গিয়েছেন। আজ রবিবার আগের সংখ্যা থেকে একজন বেড়ে ১০২ জন করোনার বলি হলেন।এ নিয়ে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৩৮৫ জন।একই সময়ে নতুন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৬৯৮ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ লাখ ১৮ হাজার ৯৫০ জন।

রবিবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআর জানিয়েছে, করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্তরা আগের চেয়ে দ্রুত মারা যাচ্ছেন।

আক্রান্ত এবং মৃত্যুর হারও বেড়েছে গত বছরের চেয়ে অনেক বেশি তীব্রতা নিয়ে। মহামারির প্রভাব পড়ছে মানসিক স্বাস্থ্যেও। শনিবার এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানায় আইইডিসিআর।রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত রোগীরা খুব দ্রুত মারা যাচ্ছে।

হাসপাতালে ভর্তির পাঁচ দিনেই মারা যাচ্ছে ৪৮ শতাংশ করোনা রোগী। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ বছরের মার্চে কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ৬৩৮ জন।

এপ্রিলের ১৫ তারিখ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৯৪১ জনের। সে অনুযায়ী দুই সপ্তাহেই মৃত্যুর হার এক লাফে ৪৭ দশমিক পাঁচ শতাংশ বেড়েছে।করোনা সংক্রমণে গত বছরের চেয়ে এ বছর নারীরা অধিক হারে মারা যাচ্ছেন বলে আইইডিসিআরের তথ্যে উঠে এসেছে।

করোনাভাইরাস মহামারিতে সংক্রমণের আতঙ্ক, চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা, মৃত্যুভয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, বেকারত্বের কারণে মানসিক সমস্যা বেড়েছে বলেও জানিয়েছে আইইডিসিআর।

এস এস