ন্যাভিগেশন মেনু

ঈদ আনন্দের মাঝে নিরানন্দ, প্রাণ ঝড়লো ৪২ জনের


ঈদ আনন্দের মাঝে হাজির হলো চরম নিরানন্দ। মুখের হাসির বদলে চোখ দিয়ে ঝড়লো অশ্রু।

গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার ফরিদপুরের পদ্মাপাড়ে ফেরিঘাটে যেতে ২৫ কিলোমিটার আর উত্তরবঙ্গ যেতে বঙ্গবন্ধু সেতুপাড়ের উভয় দিকে ৬৫ কিলোমিটার যানজট সৃষ্টি শুক্রবার সকাল থেকে।

এখন গ্রামমুখি মানুষ ঘরে ফিরে ঈদ করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।আর করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) –এ ২৮ এবং নৌকা, সড়ক দুর্ঘটনা, ছেলের হাতে বাবা খুনসহ নানা ঘটনায় প্রাণ গেল ১৪ জনের।

করোনায় মৃত্যুর মিছিলে গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্ত হলো আরও ২৮ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩ হাজার ১১১ জন। একই সময়ে সারাদেশে এই ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে আরও ২ হাজার ৭৭২ জনের শরীরে। এ নিয়ে মোট সনাক্ত হয়েছেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৬৬১ জন।

আজ শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। শেরপুরের নকলা উপজেলার বানেশ্বরদী  গ্রামে ঈদ করতে যাওয়া একমাত্র ছেলে মিলন মিয়ার (২০) হাতে তার বাবা হাবিবুর রহমান খুন হয়েছেন।

দেশের ছয় জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নারী-শিশুসহ ১৪ জন নিহত হয়েছেন।শুক্রবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি এসব দুর্ঘটনা ঘটে।

সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলায় শুক্রবার বাস চাপা পড়ে প্রাইভেটকারে থাকা স্বামী-স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। হবিগঞ্জের বাহুবলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় ২ যুবতী গার্মেন্টসকর্মীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।

গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় কাভার্ডভ্যান ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংর্ঘষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ছয়জন। অপরদিকে টাঙ্গাইলের বাসাইলে গিলাবাড়ী বাজার এলাকায় বিলের মধ্যে নৌকা ডুবে ঘটনাস্থলেই ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

শেরপুরের নকলা উপজেলায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। ফেনী জেলায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।

সাতক্ষীরা জেলার আশাশু‌নিতে সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে গিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে ঢুকে শ্বাসবন্ধ হয়ে মারা যান।

এস এস