সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নিজ স্ত্রীকে ভাড়া করা খুনি দিয়ে হত্যা মামলায় সাড়ে ২৩ বছর পর জামিন পেলেন স্বামী নুরুল ইসলাম।
রবিবার (৪ এপ্রিল) সকালে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগ তার জামিনের আদেশ দেন।
আসামী নুরুল ইসলামের যাবজ্জীবন সাজার মেয়াদ শেষের দিকে হওয়ায় এ আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ আলম সরকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার নুরুল ইসলামের আইনজীবী আপিল বিভাগকে বলেন, এই আসামীর যাবজ্জীবন সাজা খাটার মেয়াদ শেষের দিকে হলেও আপিল শুনানি শেষ হয়নি, যা শুনে বিস্মিত আপিল বিভাগ দ্রুত এ আসামীর কারাভোগের মেয়াদ জানাতে বলেন।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ আসামী ২৩ বছর ৬ মাস সাজা খেটেছেন। ১৯৯৬ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় নিজ স্ত্রী জোহরাকে ভাড়া করা খুনি দিয়ে খুন করান নুরুল। পরে মরদেহ ফেলে দেওয়া হয় পুকুরে। এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দেন নুরুল।
২০০১ সালে নুরুলকে যাবজ্জীবন সাজা দেন সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। এই দম্পতির একটি ছোট সন্তান থাকার কারণে তার মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে এই সাজা দেওয়া হয়।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ সংবাদমাধ্যমকে জানান, যেহেতু নুরুল একটানা ২৩ বছরের ওপরে হাজত খেটেছেন, কোনো সময় তিনি জামিন পাননি। এ বিষয় বিবেচনায় তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। তবে মামলার চূড়ান্ত রায় কী হবে, তা জানার জন্য আপিল বিভাগে করা আবেদনের শুনানি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এসএ/এডিবি/
