খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে প্লাটিনাম জুট মিল স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র মফিজুল ইসলাম বাপ্পীকে (১৬) পিটিয়ে হত্যা মামলায় এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়েছেন আদালত।
একই মামলায় আরও পাঁচ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় দুই আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলার রায়ে আসামি রকিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন - মো. নজরুল, রবিউল, আল আমিন, মিলন ও মুজিব হাওলাদার। খালাস পাওয়া আসামিরা হচ্ছেন - ইব্রাহিম ওরফে বাহাদুর ও মো. হাসান।
অপর আসামি আনোয়ারের বয়স ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।
এ ব্যাপারে আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট কাজী সাব্বির আহম্মেদ জানান, ‘২০১০ সালের ১০ অক্টোবর সন্ধ্যায় প্লাটিনাম স্কুল মাঠে বাপ্পী ও তার বন্ধু রাজু বসে গল্প করছিল। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা হকিস্টিক ও রড নিয়ে রাজুর ওপর হামলা চালায়। বাপ্পী রাজুকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে। এই সুযোগে রাজু পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন বাপ্পীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে রাতে তার মৃত্যু হয়।’
তিনি জানান, ‘পরদিন নিহত বাপ্পীর বড় ভাই হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে খালিশপুর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানস রঞ্জন ঘোষ ২০১২ সালের ৩১ মার্চ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।’
এ কে হিরু/এমআইআর/এডিবি
