ন্যাভিগেশন মেনু

গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে কানাডার নাগরিককে ১১ বছর কারাদণ্ড দিলো চিন


চিনের একটি আদালত কানাডিয়ান ব্যবসায়ী মাইকেল স্প্যাভারকে গুপ্তচরবৃত্তির জন্য দোষী সাব্যস্ত করে ১১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে।

বুধবার (১১ আগস্ট) এই রায় ঘোষণা করা হয়।

এই সিদ্ধান্তে চিন এবং কানাডার মধ্যে চলমান দুর্বল সম্পর্ক আরও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

আল জাজিরা জানায়, ড্যানডং শহরের ইন্টারমিডিয়েট পিপলস কোর্ট এক বিবৃতিতে বলেছে, স্পেভার, যিনি বহু বছর ধরে চিন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে ভ্রমণ ও সাংস্কৃতিক বিনিময় ব্যবসা চালাচ্ছিলেন, তিনি 'গুপ্তচরবৃত্তি এবং অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য সরবরাহের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। তাকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।'

আদালত বলেছে, গত মার্চ মাসে রুদ্ধদ্বার বিচার কাজ দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে। তাকেও নির্বাসিত করা হবে, কিন্তু কখন করা হবে তা বলা হয়নি। তার কিছু ব্যক্তিগত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে চিনা টেলিকম জায়ান্ট হুয়াওয়ের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা মেং ওয়ানঝুকে গ্রেপ্তার করে কানাডা। এর পরপরই  চিনে আটক হওয়া দুই কানাডিয়ানদের মধ্যে স্পেভার অন্যতম।

আটক হওয়া অন্যজন হলেন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক মাইকেল কোভ্রিগ। তাকেও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগের মুখোমুখি হতে হয়। গত মার্চ মাসে স্প্যাভারের পরপরই তার বিচার হয়। তিনি এখনো রায়ের অপেক্ষায় আছেন।

কানাডা বলেছে আটককৃতরা মেং ওয়ানঝুয়ের মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, যা চিন অস্বীকার করেছে।

চিনে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত ডমিনিক বার্টন জানান, যিনি ড্যানডংয়ের একটি ডিটেনশন সেন্টারে স্প্যাভারের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ব্যবসায়ী মাইকেল স্প্যাভার তিনটি বার্তা দিয়েছেন, 'আপনাদের সমস্ত সহায়তার জন্য ধন্যবাদ', 'আমি ভালো আছি', এবং 'আমি বাড়ি ফিরতে চাই'।

চিনে আড়াই বছর আগে আটক হওয়ার পর থেকে স্প্যাভার এবং কোভ্রিগকে কার্যত যোগাযোগহীন রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাসের কারণে সীমিত কনস্যুলার ভিজিট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা কেউই আইনজীবী বা তাদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি। অন্যদিকে মেং জামিন পেয়েছেন এবং তিনি কানাডার ভ্যানকুভারে প্রাসাদে বসবাস করছেন। আদালতে তার মামলা চলছে।

এডিবি/