ন্যাভিগেশন মেনু

চিনের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ফেজ-থ্রি ট্রায়াল হতে যাচ্ছে দেশে


বাংলাদেশে গত তিন দিন করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও আক্রমণ কম থাকলেও মঙ্গলবার হঠাৎ করে বেড়ে গেল। আজসহ গত চারদিনে মৃত্যুর হার ছিল যথাক্রমে ২১জন, ২২জন, ৩০জন এবং আজ ৫০জন। অর্থাৎ কোভিড-১৯-এর গতি প্রকৃতি বোঝা দায়।

এদিকে চিনা কোম্পানির তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের ফেজ-থ্রি ট্রায়াল বা তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক ব্যবহার বাংলাদেশে করার অনুমোদন দিতে পারে সরকার।

পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সন্তোষজনক ফল পাওয়া গেলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর ভ্যাকসিনটি প্রয়োগের অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মান্নান। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তিনি।

সচিব বলেন, চিনের একটি ওষুধ কোম্পানি করোনার ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষার আবেদন করেছেন। আইসিডিডিআরবি’র মাধ্যমে আবেদন স্বাস্থ্য অধিদফতর হয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এসেছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার আইসিডিডিআরবি প্রতিনিধিদের সঙ্গে মন্ত্রণালয়ে আমরা জরুরি বৈঠক করেছি।

তিনি বলেন, আমরা খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি চিনের সিনোফার্ম ওষুধ কোম্পানিটি সম্পূর্ণ একটি বেসরকারি কোম্পানি। এর সঙ্গে চিনা সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এই প্রতিষ্ঠানটির তৈরি ভ্যাকসিন ইতিপূর্বে চিনে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে নিরীক্ষা চালিয়ে সফল হয়েছে। সেটা বিবেচনায় রেখে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে যদি তা সন্তোষজনক হয় তবে আমাদের দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর প্রয়োগের জন্য আইসিডিডিআরবির মাধ্যমে এ ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হবে।

তিনি বলেন, তৃতীয় পর্যায়ে ট্রায়ালের জন্য অন্তত ৪২ ‘ লোকবলের প্রয়োজন। বাংলাদেশের কোভিড স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই সংখ্যক কর্মী রয়েছে। এজন্য তারা বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের সময় চিনে রোগীর সংখ্যা কমে গেছে। এটি বাংলাদেশের জন্যও আশার কথা বলে জানান সচিব।

কোভিড-১৯ মহামারীতে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯১৮ জন। দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার অ্যান্ড কন্ট্রোলরূম সূত্রে জানা গেছে, জুন মাসে ৯৮ হাজার ৩৩০ জন আক্রান্ত হন।

জুন মাসে গড়ে প্রতিদিন তিন হাজার ২৭৮ জন আক্রান্ত হন। আর সর্বোচ্চসংখ্যক মৃত্যু হয়েছে জুলাই মাসে। সংখ্যাটি ১ হাজার ২৬৪ জন।

এস এস