ন্যাভিগেশন মেনু

ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মাদরাসা সুপারের যাবজ্জীবন


বাগেরহাটের শরণখোলায় পঞ্চম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১১) ধর্ষণ মামলায় আসামী মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াছ জোমাদ্দারকে (৪৮) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় এই রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২ এর বিচারক মো. নূরে আলম।

এ রায়ে একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত ইলিয়াস জোমাদ্দার শরণখোলা উপজেলার উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া স্বতন্ত্র এবতেদায়ি মাদ্রাসার সুপার এবং উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের আবদুল গফফার জোমাদ্দারের ছেলে।

মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) রণজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট সকাল ৭টায় আরবি পড়ানোর কথা বলে মাদরাসা সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দার তাকে লাইব্রেরিতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস ওই ছাত্রীকে জিনে ধরার কথা বলে পানি পড়া দেন। এরপর মেয়েটির বাবা-মা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা করান। একপর্যায়ে মেয়েটি তার মাকে ঘটনা খুলে বলে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার ১১ দিন পর ১৯ আগস্ট মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মাদ্রাসা সুপার ইলিয়াস জোমাদ্দারের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন। এ মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করে।

তিনি আরও বলেন ,পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাইয়েদ প্রায় দুই মাস পর ২০১৯ সালের ১৭ অক্টোবর এই মামালার একমাত্র আসামী ইলিয়াস জোমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করেন। তিনদিন পর আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। ১৩ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দিলে আদালতের বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ৯ মার্চ চার্জ গঠন করেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ অক্টোবরের মধ্যে আদালতের বিচারক চিকিৎসক, পুলিশ, বাদী ও বিবাদী মিলিয়ে মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। গত রবিবার (১ নভেম্বর) এ মামলার বাদী-বিবাদীপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে আদালতের বিচারক আজ এ রায় দেন।

এস এ/ওআ