ন্যাভিগেশন মেনু

জাতির পিতার ১০৫তম জন্মদিন উদ্যাপনে চবি উপাচার্য

"অন্ধকারকে পদদলিত করে আমাদেরকে আলোর পথে যাত্রা করতে হবে"


বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, মহাকালের মহানায়ক, স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫ তম জন্মদিন ‘জাতীয় শিশু দিবস’ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) প্রশাসনের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় চট্টগ্রাম উদযাপিত হয়েছে। 

রবিবার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চত্বরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, চবি উপ-উপাচার্যবৃন্দ নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ বিষয়ে শিশু চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করা হয়।

‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় উদ্বোধক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। সভায় চবি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী ও চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর বেনু কুমার দে বক্তব্য রাখেন।

চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা উদযাপন কমিটির আহবায়ক চবি আইন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আবদুল্লাহ আল ফারুক এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন উক্ত কমিটির সদস্য-সচিব চবি চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক প্রফেসর সুফিয়া বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চবি প্রক্টর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার।

চবি উপাচার্য বলেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদেরকে খুবই ভালবাসতেন। আজকের শিশুরা আগামী দিনে জাতির ভবিষ্যৎ। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এ চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার মাধ্যমে শিশুরা এ মহান ব্যাক্তিত্বকে গভীরভাবে জানার ও চেনার সুযোগ পাবে এবং তাঁর আদর্শকে ধারন, লালন ও চর্চায় উৎসাহিত হবে।”

 তিনি আরও বলেন, “অন্ধকারকে পদদলিত করে আমাদেরকে আলোর পথে যাত্রা করতে হবে। তাই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে তাঁরই সুযোগ্য তনয়া প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের শিশুদেরকে আদর্শিক-দেশপ্রেমিক স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে।” আলোচনা সভা শেষে উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার অতিথিদের সাথে নিয়ে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা ঘুরে দেখেন এবং শিশুদের সাথে কুশল বিনিময় করেন।
‘জাতীয় শিশু দিবস’ এর কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রত্যুষে বিশ্ববিদ্যালয় ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ও ক্যাম্পাসস্থ সকল মসজিদে বিশেষ মোনাজাত এবং মন্দির ও প্যাগোডাসহ অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
 
১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও জাতীয় চার নেতার আত্মার চিরশান্তি এবং দেশের অব্যাহত অগ্রগতি ও মঙ্গল কামনায় গীতাপাঠ অনুষ্ঠিত হয়। তাছাড়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫ তম জন্মদিন ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষ্যে চবি প্রশাসনিক ভবন, হলসমূহ ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে দৃষ্টিনন্দন আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়। চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসস্থ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্লে-গ্রুপ থেকে ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়নরত প্রায় ৩৫০ জন শিশু অংশগ্রহণ করে। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫ তম জন্মদিন ‘জাতীয় শিশু দিবস’ উপলক্ষ্যে চবি প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন অনুষদের ডিনবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, রেজিস্ট্রার, কলেজ পরিদর্শক, হলসমূহের প্রভোস্টবৃন্দ ও আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, বিভাগীয় সভাপতি, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালকবৃন্দ, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টরবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অনুষ্ঠান আয়োজন কমিটির সদস্যবৃন্দ, অফিস প্রধানবৃন্দ, অফিসার সমিতি, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দ, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষার্থীবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ, শিশুদের অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।