যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ও বঙ্গমাতার জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামালের ৭২তম জন্মর্বাষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে করোনা মহামারিতে স্থানীয় নির্দেশনা অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে মিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে জাতির পিতার পরিবারের সকল শহীদ সদস্যগণের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর শেখ কামালের জীবন ও কর্মের উপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানটে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
তিনি বলেন, 'আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা, ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন আন্দোলনের একজন পুরোধা এবং স্পন্দন শিল্পগোষ্ঠী নামে সঙ্গীত সংগঠনসহ অসংখ্য উদ্যোগের সাথে যুক্ত শেখ কামাল ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুর্নগঠনে দেশের যুবসমাজকে কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন।'
তিনি বলেন, 'একজন দক্ষ সংগঠক, ক্রীড়াবিদ, সঙ্গীত শিল্পী, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে শহীদ শেখ কামাল তাঁর নিজস্ব চিন্তাধারা ও সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে জাতি গঠনে যে অনন্য ভূমিকা রেখে গেছেন তা যুব সমাজের জন্য এক অনুকরণীয় আর্দশ।'
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসামান্য অগ্রগতির উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, এর মধ্যদিয়েই বাস্তবায়িত হচ্ছে স্বপ্নদর্শী তরুণ শেখ কামালের স্বপ্ন।
রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, 'জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর ঘাতকেরা বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃতি ও মুছে দেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিল। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাস আর জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের ইতিহাস একই সূত্রে গাঁথা।'
তিনি প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে জাতির পিতা ও তাঁর পরিবারের ইতিহাস বিশেষ করে শেখ কামালের জীবন ও কর্ম তুলে ধরার আহ্বান জানান।
স্বাগত বক্তব্যের পর মুক্ত আলোচনায় মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা অংশগ্রহণ করেন।
তারা বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক জগতের উন্নয়নে শহীদ শেখ কামাল যে অবদান রেখে গেছেন তা জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।
শেখ কামালের আদর্শ ধারণ করে দেশের যুব সমাজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশকে আরও উচ্চতর আসনে তুলে ধরবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা।
এডিবি/