জাতিসংঘে মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত চিয়াও মোয়ে তুনকে হত্যা অথবা আহত করার পরিকল্পনার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ। তারা দুজনেই মায়ানমারের নাগরিক বলে জানা গেছে।
শনিবার (৭ আগস্ট) বিবিসি জানায়, নিউইয়র্কে মার্কিন অ্যাটর্নি অফিস জানিয়েছে, ফিও হেইন হুত এবং ইয়ে হেইন যাউ পরিকল্পনা করেছিলেন; তারা ভাড়া করা সন্ত্রাসীর মাধ্যমে রাষ্ট্রদূত চিয়াও মোয়ে তুনের ওপর হামলা চালাবেন, যাতে তিনি ওই পদ থেকে সরে দাঁড়ান।
মার্কিন অ্যাটর্নি অফিস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'ফিও হেইন হুত এবং ইয়ে হেইন যাউ মিলে পরিকল্পনা করছিলেন যে, জাতিসংঘে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা করে আহত অথবা হত্যা করা কার হবে। আমেরিকার মাটিতে এই হামলা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছিলো।'
বিবৃতিতে বলা হয়, ''বিদেশি কূটনৈতিক এবং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে নিরলস চেষ্টা করে যাচ্ছে, তাকে আমরা ধন্যবাদ জানাই।'
এ বছরের শুরুর দিকে ২০ বছর বয়সী ফিও হেইন হুতের অ্যাকাউন্টে চার হাজার মার্কিন ডলার পাঠিয়েছিলেন ২৮ বছর বয়সি ইয়ে হেইন যাউ। এই অর্থ ওই হামলার পরিকল্পনার অগ্রিম হিসাবে দেওয়ার কথা ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মায়ানমার সেনাবাহিনীর অভ্যুত্থানের পর থেকে তিনি সামরিক সরকারের কড়া সমালোচনা করে আসছেন। সামরিক জান্তা পরবর্তীতে তাকে বরখাস্ত করলেও তিনি বিশ্ব দরবারে মায়ানমারের বেসামরিক সরকারের প্রতিনিধিত্ব অব্যাহত রেখেছেন।
এই হত্যাচেষ্টার ঘটনার ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি মায়ানমারের সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, অভ্যুত্থানের পর দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভে শত শত মানুষ নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে। দেশটির নির্বাচিত নেত্রী অং সান সু চি এবং তার দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির সদস্যরাসহ আরও অনেক নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এডিবি/
