ন্যাভিগেশন মেনু

ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে ইসির মামলা


প্রথম জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য গোপন করে দ্বিতীয় জাতীয় পরিচয়পত্র নেওয়ায় অভিযোগে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া সনদ দিয়ে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত জেকেজি'র চেয়ারম্যান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল থেকে বহিষ্কৃত চিকিৎসক সাবরিনা শারমিন হুসাইনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অণুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গুলশানা থানা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মমিন মিয়া বাদী হয়ে রাজধানীর বাড্ডা থানায় সাবরিনার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইনের ১৪ ও ১৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করেছেন।

রবিবার (৩০ আগস্ট) রাতে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের গুলশান থানার নির্বাচন অফিসার মমিন মিয়া রবিবার রাতে বাড্ডা থানায় এই মামলাটি দায়ের করেছেন।’

এ প্রসঙ্গে মমিন মিয়া জানান, ‘মিথ্যা তথ্য দিয়ে দ্বৈত ভোটার হয়ে এবং একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আইন অনুযায়ি অপরাধ করেছেন সাবরিনা শারমিন হুসাইন।’

মামলার এজহারের তথ্য অনুযায়ি, ‘সাবরিনা ২০০৯ সালে হালনাগাদের সময় মোহাম্মদপুর এলাকায় ভোটার হন। সেই এনআইডিতে তার নাম সাবরিনা শারমিন হোসেন, বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হোসেন, মায়ের নাম কিশোয়ার জেসমীন, স্বামী আর এইচ হক, জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৭৮, পেশা সরকারি চাকরি এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা পিসিকালচার হাউজিং সোসাইটি, মোহাম্মদপুর, ঢাকা।’

তার দ্বিতীয় এনআইডির নিবন্ধন হয়েছে ২০১৬ সালে, ‘সেখানে তার নাম সাবরিনা শারমিন হুসেন, বাবার নাম সৈয়দ মুশাররফ হুসেন, মায়ের নাম জেসমিন হুসেন, স্বামী আরিফুল চৌধুরী, জন্ম তারিখ ২ ডিসেম্বর ১৯৮৩, পেশা চিকিৎসক এবং বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা বাড্ডার আনোয়ারা ল্যান্ডমার্ক, ঢাকা।’

তার দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রই বর্তমানে সচল।  জাতীয় পরিচয়পত্র দুটিতে ভিন্ন তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। একটিতে বয়স পাঁচ বছর কমানো হয়েছে। দুটি এনআইডিতে স্বামীর নামও ভিন্ন। একাধিক স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করে ভোটার হয় সাবরীনা।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস পরীক্ষার টেস্ট না করেই রিপোর্ট ডেলিভারি দেওয়ার অভিযোগে জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরীনা চৌধুরীকে ১২ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়।

ওয়াই এ/এডিবি