ন্যাভিগেশন মেনু

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তির শেষ বর্ষাকাল এটাই: সড়ক পরিবহন মন্ত্রী


ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ভোগান্তির শেষ বর্ষাকাল এটাই। বর্ষাকাল শেষ হলেই জনগণের ভোগান্তির অবসান হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, গাজীপুর থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত চলমান বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ দশমিক ২৭ ভাগ। এই মহাসড়কটি অত্যন্ত খারাপ, যে কারণে জনগণের ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে।

শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী গাজীপুরের চেরাগআলীতে বৃহত্তর ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের সর্বশেষ অগ্রগতি পরিদর্শনে এসে এ কথা জানান।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ‘বিআরটি’ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ আগামী বছরের ডিসেম্বরে শেষ হবে। বিআরটি প্রকল্পের আওতায় ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড সড়ক, ৬টি ফ্লাইওভার ও ২৫টি বিআরটি স্টেশনসহ মোট ২০ দশমিক ৫০ কিলোমিটার করিডোর নির্মাণ করা হবে।’

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে প্রতি ঘন্টায় উভয় দিকে ২০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, হাউজ বিল্ডিং থেকে চেরাগ আলী পর্যন্ত সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ সেতু বিভাগ বাস্তবায়ন করছে। অবশিষ্ট অংশ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ করছে। এ করিডোরে দুইটি সংরক্ষিত বিআরটি লেন, চারটি মিক্সড ট্রাফিক লেন, দুইটি অযান্ত্রিক লেন,পথচারীদের জন্য ফুটপাথের ব্যবস্থা থাকবে।

পরে সেতুমন্ত্রী প্রকল্প অফিসে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে প্রকল্প বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সেতু বিভাগের সচিব আবু বক্কর ছিদ্দিক, সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আবদুস সবুরসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গাজীপুর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়কে প্রথম  বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৩ সালে। দুই দফা প্রকল্পের সময় বাড়িয়ে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালের জুনে। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ২৬৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

এডিবি/