ন্যাভিগেশন মেনু

ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় ১৯ নভেম্বর


রাজধানীর কুর্মিটোলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোসাম্মৎ কামরুন্নাহার রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।

ইতোমধ্যেই মামলার ২৪ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলি আফরোজা ফারহানা আহম্মেদ অরেঞ্জ বিষয় নিশ্চিত করেছেন।

গত ৫ জানুয়ারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে রাজধানীর শেওড়ায় বান্ধবীর বাসার উদ্দেশে ক্যাম্পাস থেকে রওনা হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ওই শিক্ষার্থী।

সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে ভুল করে কুর্মিটোলা হাসপাতাল এলাকায় নেমে হেঁটে শেওড়ায় যাওয়ার পথে তার পিছু নেয় ধর্ষক মজনু। পরে সুযোগ পেয়ে ওই শিক্ষার্থীকে সড়ক থেকে তুলে নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি।

একপর্যায় অচেতন হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। তিনঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে বিষয়টি বুঝতে পেরে বন্ধুদের সহায়তায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) যান তিনি। সেখানে ফরেনসিক পরীক্ষায় তার ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়।

এর পরদিন সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ৮ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষক মজনুকে শেওড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে গ্রেপ্তার করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।

গ্রেপ্তারের পর র‍্যাব জানায়, মজনু একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। মজনু আগে থেকেই ওঁৎ পেতে ছিল ঘটনাস্থলে। ঢাবি ছাত্রীকে জোরপূর্বক সেখান থেকে ধরে নিয়ে যায় সে। এরপর ঝোঁপের একপাশে নিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। এর আগেও একই জায়গায় কয়েকজন নারীকে ধর্ষণ করে সে।

ওয়াই এ/এডিবি