গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত আফগানিস্তান। মার্কিন ফৌজ সরতেই কাবুলের দিকে ধেয়ে আসছে জেহাদিরা। একের পর লড়াইয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ছে আফগান ফৌজ। এহেন পরিস্থিতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হেলমন্দ কারাগারে তালিবানের হামলা রুখে দিল আফগান নিরাপত্তারক্ষীরা। ওই সংঘর্ষে খতম হয়েছে ৩৮ জন জেহাদি।
‘Tolo News’ সূত্রে খবর, প্রবল লড়াইয়ের পর হেলমন্দ প্রদেশের বেশকিছু জায়গা দখল করেছে তালিবান। এবার লস্করগাহ এলাকায় একটি অত্যন্ত গুরুতপূর্ণ কারাগারে হামলা চালায় জঙ্গিরা। সেখানে বন্দি রয়েছে বহু কুখ্যাত তালিবান জঙ্গি। তাদের মুক্ত করতেই এই হামলা চালানো হয়েছিল। এই বিষয়ে সোমবার আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রকের মুখপাত্র ফাওয়াদ আমান বলেন, “গতকাল রাতে হেলমান্দ প্রদেশের লস্করগাহের কেন্দ্রীয় কারাগারে হামলা চালায় তালিবান।
প্রায় ৪০ জন জঙ্গি আক্রমণ চালিয়েছিল। তবে ওই হামলা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৮ জনকেই খতম করেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। আহত হয়েছে আরও দুই জেহাদি।” তবে রাতে হেলমন্দ প্রদেশে অত্যন্ত বেকায়দায় পড়েছে আফগান ফৌজ। স্থানীয় সংসদ করিম অটল জানিয়েছেন, দ্রুত মদত না পেলে এই প্রদেশও দখল করবে তালিবান।
ইতিমধ্যেই প্রভিনশিয়াল গভর্নরের মুখ্য কার্যালয়ের ২০০ মিটারের মধ্যে চলে এসেছে জঙ্গিরা। নিরাপত্তারক্ষীদের তুমুল লড়াই চলছে তাদের। তবে এহেন পরিস্থিতিতেও কিছুটা আসার আলো জাগিয়ে ‘আফগান ন্যাশনাল ডিফেন্স অ্যান্ড সিকিউরিটি ফোর্সেস’ বা আফগান আর্মি জানিয়েছে হেলমন্দ, হেরাত ও কান্দাহারে প্রতিরক্ষা মজবুত করা হয়েছে। এখনই এনিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরতেই দেশটির প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা দখল করার দাবি করেছে তালিবান । আফগান সেনাও পালটা হামলা চালিয়ে এলাকা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে কাবুল প্রশাসন। ফলত যুদ্ধ পরিস্থিতি চলছে সেখানে। কয়েকদিন আগেই এক রিপোর্টে সাফ বলা হয় যে আফগান সেনাদের বিরুদ্ধে লড়তে তালিবানের হাত শক্ত করছে পাকিস্তান।
হাজার দশেক পাক সেনা আফগানিস্তানে গিয়ে তালিবানদের সঙ্গে যৌথ আক্রমণ শানিয়েছে। এদিকে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই নির্দেশ দিয়েছে সেদেশে অবস্থিত ভারতীয় বসতি ও পরিকাঠামোগুলি আগে ধ্বংস করার।
এস এস
