ন্যাভিগেশন মেনু

তালেবানের দখলে আফগানিস্তানে একটি প্রাদেশিক রাজধানী


আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো বাহিনী চলে যাওয়ার পর এই প্রথম একটি প্রাদেশিক রাজধানী দখল করে নিয়েছে তালেবান। দেশটির সরকারি কর্মকর্তা এটি নিশ্চিত করেছেন।

আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহারের পর থেকে তালেবান সেখানে বেশ দ্রুতগতিতে বিভিন্ন এলাকা দখল করতে শুরু করে। আরও দুটি প্রাদেশিক রাজধানী পশ্চিমের হেরাত ও দক্ষিণের লস্কর গাহ তালেবানের হামলার মুখে খুবই নাজুক অবস্থায় আছে।

বিবিসি জানায়, বিদ্রোহীরা শুক্রবার (৬ আগস্ট) বিকেলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় নিমরোজ প্রদেশের রাজধানী যারানজ দখল করে নেয়।

যারানজ হচ্ছে ইরান সীমান্তের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এক বাণিজ্য কেন্দ্র। এই শহরের চারিদিকের এলাকা দখল করে নেওয়ার পর তালেবান যারানজ দখলের জন্য অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছিল।

এর আগে শুক্রবার কাবুলে আফগান সরকারের মিডিয়া এবং তথ্য কেন্দ্রের প্রধান দাওয়া খান মেনাপাল বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। তার নিহতের খবর আফগান পুলিশ স্বীকার করেছে। তিনি প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির মুখপাত্র হিসাবেও কাজ করেছেন। 

এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে তালেবান। তালেবানের মুখপাত্র যাবিহউল্লাহ মুজাহিদ এক ট্যুইট বার্তায় বলেন, তারা দাওয়া খান মেনাপালকে হত্যা করেছে।

মেনাপাল ২০১৬ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সরকারি পদে যোগ দেওয়ার আগে তিনি রেডিও আযাদীতে সাংবাদিক হিসাবে কাজ করতেন।

এর দুইদিন আগে বুধবার (৪ আগস্ট) কাবুলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল তালেবান।

এর আগে আফগান সামরিক সূত্র জানিয়েছিল, লস্কর গাহ শহরে চলমান লড়াইয়ে তালেবানের একজন ঊর্ধ্বতন কমান্ডার মলাওউয়ি মুবারক এবং বেশ কিছু বিদ্রোহীকে হত্যা করা হয়েছে।

তবে, তালেবান এই দাবি অস্বীকার করে বলেছে, ওই কমান্ডার জীবিত আছেন। তালেবান লস্কর গাহ, হেরাত ও কান্দাহার দখলের জন্য তুমুল লড়াই চালাচ্ছে।

অন্যদিকে, সরকারি বাহিনী কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোতে তাদের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে লড়াই চালাচ্ছে।

জঙ্গি গোষ্ঠি তালেবান এরইমধ্যে আফগানিস্তানের বিস্তীর্ন গ্রামীন এলাকা দখল করে নিয়েছে। এখন তারা বড় বড় শহরগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

এডিবি/