ন্যাভিগেশন মেনু

দুদকের মামলায় চট্টগ্রাম আদালতে প্রদীপ


প্রায় চার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হবে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি, টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় প্রদীপকে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাকে হাজির করা হবে। এ দিকে একই মামলায় ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি আসামি হলেও সে পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি দুদক। তবে চুমকি যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারে, সে ব্যাপারে দুদকের পক্ষ থেকে পুলিশকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

ইতোমধ্যে দুদকের মামলায় ওসি প্রদীপকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে তাকে কক্সবাজার কারাগার থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে আসা হয়েছে।

চার কোটির বেশি জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের মধ্যে ৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫ হাজার ৬৩৫ টাকা সাবেক ওসি প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করেছেন বলে দুদক অভিযোগ এনেছে। আরও ১৩ লাখ ১৩ হাজার ১৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য বিবরণীতে গোপন করার অভিযোগও আনা হয়েছে চুমকির বিরুদ্ধে।

প্রদীপ ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদ অর্জন করে স্ত্রীর নামে হস্তান্তর ও স্থানান্তর করেছেন বলেও  দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন এবং এজাহারে বলা হয়েছে।

দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। ঘটনাস্থল বিবেচনায় মামলাটি করা হয়েছে দুদকের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ।

তিনি জানান, ‘২০১৮ সালে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের অবৈধ সম্পদ অর্জনের তদন্ত শুরু হলে ২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল তাদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু চুমকি তা জমা দেন ২০১৯ সালের ১২ই মে।’

গত ২৭ আগস্ট দুদকের মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালতে আবেদন করা হয়।

দুদকের দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘ওসি প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারণ পেশায় একজন গৃহিণী। তিনি কোথাও চাকরি করেন না। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট দানপত্র দলিল মূলে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটা এলাকায় জমিসহ একটি ছয়তলা বাড়ি তার পিতার কাছ থেকে পেয়েছেন। শ্বশুরের কাছ থেকে প্রদীপের স্ত্রীর উপহার পাওয়া বাড়ি নিয়ে দুদকের তদন্তে দেখা যায়, চুমকি কারণকে তার পিতা একটি বাড়ি দানপত্র করে দিলেও তার অন্য দুই ভাই ও এক বোনকে কোনো বাড়ি দানপত্র করেননি। এতে প্রতীয়মান হয়, ওসি প্রদীপ কুমার দাশের ‘ঘুষ ও দুর্নীতি’র মাধ্যমে অর্জিত আয় গোপন করার উদ্দেশ্যে স্থানান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে তার শ্বশুরের নামে ওই বাড়ি নির্মাণ করে পরে চুমকির নামে দানপত্র করে নিয়ে প্রদীপ দাশ ভোগদখল করছে।’

ওয়াই এ/এডিবি