সোমালিয়া উপকূলে জলদস্যুদের হাতে আটক হওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ মুক্তির বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আলোচনা চলছে। তবে এখনো মুক্তিপণ না চাইলেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের আলাপে অগ্রগতি আছে। দ্রুত সমঝোতা মাধ্যমে জিম্মি জাহাজ-নাবিকদের মুক্তির আশ্বাস জানিয়েছে জাহাজটির মালিকপক্ষ।
তবে আসন্ন ঈদুল আজহার আগেই জাহাজ ও নাবিকদের মুক্তির বিষয়ে এখনো সুস্পষ্ট জানাতে পারছে না জাহাজের মালিক পক্ষ। তবে গতবার উদ্ধার হওয়া জাহাজ জাহান মনি ক্ষেত্রে যে সময় লেগেছিল, এবার তার চেয়ে দ্রুত এমভি আবদুল্লাহ উদ্ধার হবে বলে আশা করছেন মালিকপক্ষ। তবে ঈদের আগেই মুক্তি বিষয়ে পুরোপুরি আশ্বাস দিতে পারছে না
এমভি আবদুল্লাহ মুক্তির সর্বশেষ তথ্য জানতে চাইলে কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, জিম্মি নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত করার লক্ষ্যে তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত সমঝোতা হয়নি। জিম্মি নাবিকেরা সুস্থ আছেন। জাহাজে নাবিকদের খাবার কমলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তীর থেকে দস্যুরা জাহাজে খাবার নিয়ে আসছে। দ্রুত সমঝোতার মাধ্যমে জাহাজ ও নাবিকদের ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।
বিভিন্ন মিডিয়ায় জলদস্যু মুক্তিপণ দাবি বিষয়ে তিনি বলেন, জলদস্যুরা এখনো পর্যন্ত মুক্তিপণ দাবি করেনি। শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমেও মুক্তিপণ হতে পারে। জিম্মি নাবিকদের জাহাজে চলাচলে কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে না। নাবিকরা তাদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে দিচ্ছে। আমাদের সাথেও নাবিকদের সাথে কথা বলছি। নিরাপত্তার স্বার্থে এখন বেশি সম্ভব নয়।
জাহাজে খাবার মজুদ বিষয়ে তিনি বলেন, জাহাজে পর্যাপ্ত খাবার রয়েছে। পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এখন আবদুল্লাহ জাহাজে পানি রেশনিং করা হচ্ছে। খাবার নিয়ে নাবিকদের খাবার কোন সমস্যা হবে না। জাহাজে মজুদ খাবার ফুরিয়ে এলেও জলদস্যুরা নিজেদের স্বার্থে খাবার নিয়ে আসছেন।
তাছাড়া এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে নাবিকদের জন্য প্রায় ২৫ দিনের হিমায়িত খাবার মজুদ ছিল। তবে শুকনো খাবার অনেক দিনের জন্য মজুদ রয়েছে। এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করার সময় জাহাজটিতে ২০০ টন বিশুদ্ধ পানি ছিল।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের বৃহৎ শিল্পগ্রুপ কেএসআরএম’র মালিকানাধীন জাহাজটি বর্তমানে সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জিফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করেছে। গত ১২ মার্চ মঙ্গলবার ভারত মহাসাগরে ২৩ জন বাংলাদেশি নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করেছিল সোমালিয়ার জলদস্যুরা।
