নিজের বিরুদ্ধে নিজেই মামলা নিলেন নেত্রকোনার কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুজ্জামান।
ওসির বিরুদ্ধে মামলাটি করেন কেন্দুয়া উপজেলার চিরাং ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা। তাকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগে এ মামলাটি করা হয়।
আদালতের নির্দেশে শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়।
এর আগে আদালত বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে মামলা রুজ্জু করতে ১০ সেপ্টেম্বর নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ওসি রাশেদুজ্জামানের বিভিন্ন অপকর্ম ও দুর্নীতির বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করায় ওসি মামলার বাদী গোলাম মোস্তফাকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছিলেন। এর জেরে গত ৪ জুন রাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে ওসি একটি সালিশে ঢুকে গোলাম মোস্তফাকে আটক করেন।
পরে সালিশস্থলে কিছু তাস ছড়িয়ে ছিটিয়ে জুয়া খেলার ছবি তুলে ঘটনাস্থলে থাকা আটজনকে থানায় নিয়ে যান। সেদিন রাতে ওসি গোলাম মোস্তফাকে হেফাজতে রেখে মারপিট এবং নির্যাতন করেন।
পরবর্তীতে জুয়া আইনে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন যুবলীগের ওই নেতা।
করোনাভাইরাসের কারণে আদালত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তখন মামলা করতে না পারার কথা আদালতকে জানান মামলার বাদী। পরে আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়।
ওসির বিরুদ্ধে মামলা হওযায় মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে খালিয়াজুরী সার্কেল এবং কেন্দুয়া সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জামাল উদ্দিনকে।
তিনি বলেন, ‘এ মামলার তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। নিরপেক্ষতা এবং দক্ষতার সঙ্গে মামলার তদন্ত সম্পন্ন করা হবে।’
সিবি/এডিবি