ন্যাভিগেশন মেনু

পশুর হাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে: তাপস


ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় যত্রতত্র অবৈধ কোন পশুর হাট বসার কোন সুযোগ নেই। আর তাই রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এর আগে সোমবার (২৭ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি লেকে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষ্যে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা জানান।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস জানান, ‘গণমাধ্যমের সুবাদে দেখা যাচ্ছে, ইতোমধ্যে অনেকেই  ইজারায় বরাদ্দকৃত জায়গার বাইরে আবাসিক এলাকায়ও গরুর হাট বিস্তৃত করছে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তাই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। ইজারায় বরাদ্দকৃত জায়গার বাইরে কোন ইজারাদার পশুর হাট বসাতে পারবে না।’

করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধিসহ অন্যান্য শর্তাবলী প্রতিপালনে ডিএসসিসি কঠোরতা দেখাবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৮টি সংসদীয় আসনের কথা বিবেচনা করে ১১টি জায়গায় ১১টি পশুর হাট ইজারা দেয়া হয়েছে। এ সব হাট সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে রবিবার (২৬ জুলাই) ইজারাদারদের নিয়ে সভা হয়েছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ১১টি হাট সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে ইজারাদারদের নিয়ে সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় ইজারাদাররা শর্তাবলী যাতে কঠোরভাবে পালন করে সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাই, সে সকল শর্তাবলী প্রতিপালন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে হাটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। কেউ ইজারার শর্ত ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা ও সংরক্ষিত নারী আসনের কাউন্সিলর শিরীন গাফফারী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, রাজধানীর ধানমন্ডি লেকে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষ্যে ১২০ কেজি রুই, ৬০ কেজি কাতলা, ১০৫ কেজি মৃগেল, ১৫ কেজি কালিবাউসসহ মোট ৩০০ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।

ওয়াই এ/ওআ