ন্যাভিগেশন মেনু

পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের আরও ১০ মামলার অনুমোদন


অর্থ আত্মসাত মামলার আসামী পি কে হালদারসহ ৩৭ জনের বিরুদ্ধে আরও ১০ মামলার অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার (৯ মার্চ) এ সংক্রান্ত মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে দুদক সচিব ড. মু আনােয়ার হােসেন হাওলাদার।

প্রায় ৮০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিদেশে পলাতক প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে) তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে নতুন এই ১০ মামলা করা হবে।

দুদক সচিব সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই না করে ও কোনো মর্টগেজ ছাড়াই ১০টি কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মালিককে  ঋণ দেওয়া হয়। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ভুয়া ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাত করা হয়েছে।

পরবর্তীতে বিভিন্ন ভুয়া কোম্পানি ও ব্যক্তির হিসাবে ওই অর্থ স্থানান্তর ও রূপান্তরের মাধ্যমে মানিলন্ডারিং প্রতিরােধ আইন ও দুর্নীতি প্রতিরােধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযােগ্য অপরাধ করায় মােট ৩৭ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ১০টি মামলার অনুমােদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এই সবগুলো মামলাতে পি কে হালদারকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম এ হাশেম, এমডি মো. রাশেদুল হক, ভারপ্রাপ্ত এমডি মাে. আবেদ হােসেন এবং প্রতিষ্ঠানটির বাের্ড সদস্যসহ পি কে হালদারের অন্যান্য সহযোগীদের আসামি করা হচ্ছে।

অন্য যাদের আসামি করা হচ্ছে তারা হলেন - দৃনান অ্যাপারেলসের চেয়ারম্যান কাজী মমরেজ মাহমুদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবু রাজীব মারুফ, ইমেক্সোর প্রােপাইটর ইমাম হােসেন, লিপরাে ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক উত্তম কুমার মিস্ত্রি, উইন্টেল ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের দুই পরিচালক সুকুমার সাহা ও তার মেয়ে অনিন্দিতা সাহা, আর্থস্কোপ লিমিটেড চেয়ারম্যান প্রশান্ত দেউরী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিরা দেউরী, ওকায়ামা লিমিটেডের চেয়ারম্যান সুব্রত দাস, আরবি এন্টারপ্রাইজের মালিক রতন কুমার বিশ্বাস, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের পরিচালক পাপিয়া ব্যানার্জি ও তার স্বামী পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জি। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের পরিচালক এম নুরুল আলম, পরিচালক মাে. নওশের-উল ইসলাম, পরিচালক নাসিম আনােয়ার, পরিচালক মাে. নুরুজ্জামান, পরিচালক মােহাম্মদ আবুল হাসেম ও জহিরুল আলমসহ মোট ৩৭ জনকে আসামি করা হয়।

এর আগে ২৫ জানুয়ারি পি কে হালদার কেলেঙ্কারিতে ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৩৩ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃথক ৫ মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগে আনান কেমিক্যাল লিমিটেডের নামে ৭০ কোটি ৮২ লাখ টাকা, সুখাদা প্রোপার্টিজ লিমিটেডের নামে ৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা, মেসার্স বর্ণ-এর নামে ৬৬ কোটি ৯৮ লাখ টাকা, রাহমান কেমিক্যালস লিমিটেডের নামে ৫৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ও মুন এন্টারপ্রাইজের নামে ৮৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিকেল ৩টা ৩৮ মিনিটে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে যান পি কে হালদার। যদিও পালিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই পি কে হালদার যাতে বিদেশ যেতে না পারেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এমন চিঠির কপি পায় বেনাপোল স্থলবন্দরে দায়িত্বরত ইমিগ্রেশন পুলিশ।

সিবি/এডিবি