ন্যাভিগেশন মেনু

পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ শুল্ক কমানোর চিন্তা


পেঁয়াজ সংকট দূর করতে অন্যদেশ থেকে আমদানি সহজ করতে পেঁয়াজের ওপর ধার্য শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়ে দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

তিনি বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এ বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হবে।

রবিবার (৩ জানুয়ারি) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'আমরা একটা প্রস্তাব করবো, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে কী করা যায় তারা সেটা করবে। যদি মনে করে যে, দেওয়াটা (শুল্ক) ভালো তাহলে দেবে।'

মন্ত্রী বলেন, আমার যেটা সাজেশন তাদের প্রতি এবং আপনাদেরও জানাতে চাই - ভারতের পেঁয়াজ আমরা নেবো কি নেবো না, কী পরিমাণ ডিউটি আরোপ করবো, এটা যেনো আমাদের উৎপাদকদের কথা বিবেচনা করে এবং ভোক্তাদের কথা বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়। কোনো অবস্থাতেই যাতে উৎপাদকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তাদের সাপোর্ট না দিলে সামনের দিনগুলোতে আমাদের আরও খারাপ অবস্থা হবে।

আমদানি শুল্ক বাড়বে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আজকে আলোচনা করে ঠিক করবো আমরা কী করবো। যদি দেখি ভারতের পেঁয়াজ ৩৯ টাকায় ঢুকছে। সেটা আমাদের জন্য আতঙ্কের কোনো কারণ নেই।'

তিনি বলেন, 'ভারত আজ পেঁয়াজ ছেড়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ ঢুকছে ৩৯ টাকা দরে। আর ঢাকার বাজারে সেই পেঁয়াজ পাইকারিতে ৪৫ টাকা, আর খুচরা বাজারে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। তবে আমাদের পেঁয়াজ কিন্তু সেই রেটেই আছে। পাশাপাশি ভারতের পেঁয়াজ ঢুকলেও সমস্যার কিছু নেই। আজ বিকেলে কৃষি ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বৈঠক করবেন, সেখানে আলোচনা করে এ বিষয় ফয়সালা করবেন।'

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পেঁয়াজের ক্রাইসিসের কারণে আমদানি হবে এমনটা নয়, নিয়মিত আমদানি হয়। আমাদের দেশে এই মুহূর্তে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে, পাশাপাশি মুরিকাটা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে - আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আগামী মার্চ মাসে যে পেঁয়াজ আসবে সে পর্যন্ত কোনো সমস্যা হবে না।

সিবি/এডিবি