ন্যাভিগেশন মেনু

ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার বিকল্প নেই- অর্থ প্রতিমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে ভিশন ২০৪১ তথা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সমাজের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় সকল সেবা পৌঁছে দিতে শিক্ষিত তরুণ, যুবক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এম. এ. লতিফ এমপি এর উদ্যোগে যাত্রা শুরু হয়েছে “স্মার্ট জেনারেশন সোসাইটি”।

শনিবার বিকেলে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে নবগঠিত স্মার্ট জেনারেশন সোসাইটির সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের স্বপ্নদ্রষ্টা, প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসন থেকে চারবার নির্বাচিত ও জনপ্রিয় সংসদ সদস্য এম. এ. লতিফ। ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাকের আহমদ খোকন’র সঞ্চালনায় উক্ত সম্মলনে প্রধান অতিথি অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি ও বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এর শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহবুবুল হক মিয়া, কাউন্সিলরবৃন্দ গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, জওহর লাল হাজারী, পুলক খাস্তগীর, মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ, ৩৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন কবি, ৪১নং ওয়ার্ড নুরুল আলম, চট্টগ্রাম বন্দর সিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাবেক সহ-সম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদ, স্বাধীনতা নারী শক্তি’র পরিচালকবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।

প্রধান অতিথি ওয়াসিকা আয়শা খান এমপি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী আমাকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করায় আমি তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ। দেশের ইতিহাসে নারী অর্থ প্রতিমন্ত্রী হিসেবে সততা ও আন্তরিকতার সাথে অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। একই সাথে দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল ও উন্নত বাংলাদেশে রূপান্তরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করে যাব।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেন বলেই মন্ত্রী সভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন চট্টগ্রামের কৃতি সন্তানদের। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন বাস্তবায়নে স্বপ্ন সারথী হিসেবে কাজ করে যাব আমরা। একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে আগামীর তারুণ্যে শক্তিকে আরো উজ্জীবিত করতে এমএ লতিফ এমপি যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা দেশের সকল নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জন্য অনুস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

সিটি মেয়র মোঃ রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামকে দেশি-বিদেশী বিনিয়োগের আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করতে টানেল, বঙ্গবন্ধু শিল্প নগর, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ অনেক মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। এর সুফল পেতে এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগ বাড়ানোর পাশাপাশি দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার বিকল্প নেই। এজন্য স্মার্ট জেনারেশন তৈরি করতে হবে। যারা হবে প্রযুক্তিতে পারদর্শী মেধাবী গোষ্ঠি। যারাই আগামীর উন্নত বাংলাদেশের কারিগর। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট সিটিজেন গড়ার যে উদ্যোগ নিয়েছেন সংসদ সদস্য এম. এ. লতিফ তা অনুসরণযোগ্য। সকলে যদি এভাবে এগিয়ে আসে তাহলে ২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট ও স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

সভাপতির বক্তব্যে এমএ লতিফ এমপি বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে বিশ্ব দ্রæত এগিয়ে যাচ্ছে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় আমরা এখন নতুন নতুন প্রযুক্তির সাথে পরিচিত হচ্ছি। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের এই যুগে কল-কারখানায় ব্যবহার করা হচ্ছে রোবট ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি। তাই প্রযুক্তির এই লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে আধুনিক, দক্ষ, প্রশিক্ষিত প্রজন্ম গড়ে তোলা প্রয়োজন।

তিনি বলেন-দ, বঙ্গবন্ধু কন্যার এবারের নির্বাচনে ইশতেহারে ছিল স্মার্ট বাংলাদেশ। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে স্মার্ট সিটিজেনের কোন বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীর ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং বাংলাদেশকে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যেতে হাতিয়ার হবে স্মার্ট জেনারেশন সোসাইটি।