চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার ১১৫তম আসরে নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কুমিল্লার বাঘা শরীফ বলী। সীতাকুণ্ডের মোহাম্মদ রাশেদ বলীকে হারিয়ে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন তিনি। ফাইনালে প্রায় ১১ মিনিট লাড়াইয়ের পর বাঘা শরীফের কাছে হার মানতে হয় রাশেদের।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে অনুষ্ঠিত বলী খেলার ১১৫তম আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয় কুমিল্লার বাঘা শরীফ ও রাশেদ।
এবারের বলী খেলায় সারাদেশের প্রায় ৮৪ জন বলী অংশ গ্রহন করেছে। তাদের মধ্যে মূল প্রতিযোগিতায় অংশ নেন সীতাকুণ্ডের রাশেদ বলী ও কুমিল্লার বাঘা শরীফ বলী।
এর আগে বলী খেলার এবারের আসর থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন তরিকুল ইসলাম জীবন ও শাহ জালাল বলী। এ আসরের চ্যাম্পিয়ন বাঘা শরীফকে সুযোগ করে দিতে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন তারা।
তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে জয় পান সৃজন চাকমা। এনিয়ে টানা তৃতীয়বার তৃতীয় স্থান অধিকার করেন তিনি। এর আগে দর্শকদের আগমনে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে লালদীঘির ময়দানে।
১৯০৯ সালে চট্টগ্রামের সনামধন্য ব্যবসায়ী আব্দুল জব্বার সাওদাগরের এ বলী খেলার সূচনা করেন। সেই থেকে প্রতি বছরের বৈশাখ মাসের ১২ তারিখ এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ব্যতিক্রমধর্মী এ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য ব্রিটিশ সরকার আবদুল জব্বার মিয়াকে খান বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
গত ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল আয়োজিত জব্বারের বলী খেলার ১১৪তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় কুমিল্লার শাহজালাল বলীর কাছে হেরে যায় চকরিয়া উপজেলার তরিকুল ইসলাম জীবন।
প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী বিজয়ী বলীর হাতে ট্রপি ও পুরস্কারের ২৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
এবার বলী খেলার উদ্বোধন করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম-৬ আসনের এমপি ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বলীখেলার স্পন্সর প্রতিষ্ঠান এনএইচটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ তানসীর।
জব্বারের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলাকে ঘিরে লালদীঘি ও আশপাশের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।