ন্যাভিগেশন মেনু

সাংবাদিক ফরিদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ক্র্যাবের আল্টিমেটাম


দৈনিক যুগান্তরের অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক ইকবাল হাসান ফরিদের ওপর কেমিক্যাল হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আগামী সাত দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব)। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছে সংগঠিনটির নেতারা। 

রবিবার (৫ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) চত্ত্বরে ক্র্যাব আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ওই আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

এদিকে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এ মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। মামলাটি থানা থেকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিবি কাজ শুরু করেছে।

মানববন্ধনে ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান বলেছেন, আগামি সাতদিনের মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করুন। না হলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

মানববন্ধনে ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইকবাল হাসান ফরিদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই। থানা পুলিশ এবং তদন্ত কর্মকর্তার ভূমিকা শুরু থেকেই রহস্যজনক। এখন যেহেতু মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে, তাই ডিবিকে আসামি সাত দিন সময় দিতে চাই। এই সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার না হলে বা তদন্তে অগ্রগতি না হলে আরো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বাদীর অনেক সন্দেহ থাকতে পারে। তবে পুলিশের কাজ, প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা। 

মানববন্ধনে ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলম, আসাদুজ্জামান বিকু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফ রানা ও আতাউর রহমান বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, ইকবাল হাসান ফরিদের ওপর হামলার ঘটনায় যে-ই জড়িত হোক তাকে খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হউক। মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক ইকবাল হাসান ফরিদ তার ওপর হামলার বিস্তারিত বর্নণা দেন। 

তিনি বলেন, ঢাকায় অফিস শেষে ফেরার পথে গত ১৯ এপ্রিল রাতে সাভারের দক্ষিণ কলমায় বাসার কাছে দুর্বৃত্তরা আমাকে সাভারের দুই জনপ্রতিনিধির নাম বলে একমাসের মধ্যে এলাকা না ছাড়লে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মাথায় মুখে ঝাঝালো ক্যামিকেল ছুড়ে দেয়। যাদের নাম বলে হুমকি এবং হামলা করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে আমার পরিচয়, সম্পর্ক কিংবা বিরোধ কোনটাই নেই। আমার ধারণা তৃতীয় কোন পক্ষ তাদের নাম বলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা চালাতে পারে। এ ঘটনায় গত ২১ এপ্রিল সাভার থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। কিন্তু অদ্যবধি অপরাধীদের সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। 

উপরন্তু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজিব শিকদার আমার সন্দেহভাজনদের সঙ্গে গভীর রাতে একাধিক মিটিং করেছেন। একটি রেস্টুরেন্টে বসে মিটিংয়ের তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন বলে দাবি করেন ফরিদ। এই অবস্থায় মামলার তদন্তে স্বচ্ছতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তিনি।    

মানববন্ধনে ক্র্যাব যুগ্ম সম্পাদক দিপন দেওয়ান, অর্থ সম্পাদক হরলাল রায় সাগর, সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম রাজী, দপ্তর সম্পাদক কামাল হোসেন তালুকদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ কালিমউল্যাহ নয়ন উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বকুল আহমেদ, সাবেক কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ক্র্যাবের সিনিয়র সদস্য সাহাবুদ্দিন চৌধুরী, গাফফার খান চৌধুরী, ক্র্যাবের সদস্য ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুশান্ত সাহা, ক্র্যাব সদস্য সুজন কৈরী, উজ্জ্বল হোসেন জিসান, সাব্বির আহমেদ, ইমন রহমান ও ডিআরইউর অর্থ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, দেশ রূপান্তরের স্টাফ রিপোর্টার আসাদুল্লা লায়নসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।