ন্যাভিগেশন মেনু

আহম্মদ উল্লাহ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
আহম্মদ উল্লাহ
May 05, 2024

অপরাধ

সাংবাদিক ফরিদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ক্র্যাবের আল্টিমেটাম

সাংবাদিক ফরিদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে ক্র্যাবের আল্টিমেটাম

দৈনিক যুগান্তরের অপরাধ বিষয়ক প্রতিবেদক ইকবাল হাসান ফরিদের ওপর কেমিক্যাল হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আগামী সাত দিনের মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব)। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেছে সংগঠিনটির নেতারা। রবিবার (৫ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) চত্ত্বরে ক্র্যাব আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ওই আল্টিমেটাম দেয়া হয়।এদিকে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত এ মামলার উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি নেই। মামলাটি থানা থেকে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে (ডিবি) হস্তান্তর করা হয়েছে। ডিবি কাজ শুরু করেছে।মানববন্ধনে ক্র্যাব সভাপতি কামরুজ্জামান খান বলেছেন, আগামি সাতদিনের মধ্যে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করুন। না হলে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ অন্যান্য সাংবাদিক সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।মানববন্ধনে ক্র্যাব সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইকবাল হাসান ফরিদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে গত ১৯ এপ্রিল। দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মামলার তদন্তে অগ্রগতি নেই। থানা পুলিশ এবং তদন্ত কর্মকর্তার ভূমিকা শুরু থেকেই রহস্যজনক। এখন যেহেতু মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে, তাই ডিবিকে আসামি সাত দিন সময় দিতে চাই। এই সময়ের মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার না হলে বা তদন্তে অগ্রগতি না হলে আরো কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বাদীর অনেক সন্দেহ থাকতে পারে। তবে পুলিশের কাজ, প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা। মানববন্ধনে ক্র্যাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলম, আসাদুজ্জামান বিকু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক লতিফ রানা ও আতাউর রহমান বক্তব্য রাখেন। তারা বলেন, ইকবাল হাসান ফরিদের ওপর হামলার ঘটনায় যে-ই জড়িত হোক তাকে খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হউক। মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিক ইকবাল হাসান ফরিদ তার ওপর হামলার বিস্তারিত বর্নণা দেন। তিনি বলেন, ঢাকায় অফিস শেষে ফেরার পথে গত ১৯ এপ্রিল রাতে সাভারের দক্ষিণ কলমায় বাসার কাছে দুর্বৃত্তরা আমাকে সাভারের দুই জনপ্রতিনিধির নাম বলে একমাসের মধ্যে এলাকা না ছাড়লে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মাথায় মুখে ঝাঝালো ক্যামিকেল ছুড়ে দেয়। যাদের নাম বলে হুমকি এবং হামলা করা হয়েছে, তাদের সঙ্গে আমার পরিচয়, সম্পর্ক কিংবা বিরোধ কোনটাই নেই। আমার...


May 03, 2024

জাতীয়

আজ যা দেখা গেল মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমগুলোতে

আজ যা দেখা গেল মিল্টন সমাদ্দারের আশ্রমগুলোতে

বিতর্কিত সমাজকর্মী মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তারের পর মিল্টনের প্রতিষ্ঠিত দাতব্য সংস্থা চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের দুটি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক নীরবতা বিরাজ করছে। এক দশক ধরে অসহায় বৃদ্ধ ও শিশুদের আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠা প্রতিষ্ঠানটিতে শুক্রবার একদম নীরব পাওয়া গেছে।বুধবার বিভিন্ন জালিয়াতির অভিযোগে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বৃহস্পতিবার তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।শুক্রবার সাভারের কমলাপুর বাহিরটেকস্থ চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের স্থায়ী কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে পুরো চত্বর ছিল নির্জন ও নীরব। প্রধান ফটক বন্ধ ছিল, প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়া বাইরের কেউ প্রবেশ করতে পারেনি।৭-তলা ভবনের ভেতরে লোকজনের আনাগোনা দেখা গেছে। এই সংবাদদাতা আশ্রমের অফিসের কর্মীদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও ভেতর থেকে কেউ সাড়া দেয়নি। মূল ভবনের সামনে একটি রান্নাঘর ছিল। রান্নাঘরের ভেতরে একজন নারীকে পাওয়া গেলেও তিনি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।আশ্রমের আশেপাশে ঘুরে দেখার সময় এই প্রতিবেদক পাশের একটি বাড়িতে যান, সেখানে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী বলেন, “আমরা ফেসবুকে মিল্টন সমাদ্দারের বিভিন্ন কার্যকলাপ দেখতাম। মিল্টন দা যখন ভবনের নির্মাণকাজ শুরু করেন, তখন আমরা খুব খুশি হয়েছিলাম। আমরাও আশ্রমে দান করি। কিন্তু যখন আমরা তার সাথে বাস্তবে যোগাযোগ শুরু করি, তখন আমরা তাকে ফেসবুকে যেমন দেখতাম তার ঠিক বিপরীত চরিত্রে পাই।”তিনি বলেন, “তার ব্যবহারে অহংকারের ছাপ পাওয়া যায়। এবং তার আচরণ ছিল অভদ্র। নির্মাণকাজ চলাকালে তিনি অপর এক ব্যক্তির জমির ভেতরে একটি কক্ষ নির্মাণের চেষ্টা করেন। সস্তায় জমি বিক্রি না করায় তিনি একটি পরিবারকেও মারধর করেন।”“তিনি তার আশ্রমের সামনের রাস্তাটি এতটাই সরু করে রেখেছেন যে তার আশ্রমের পরে থাকা অন্য জমির মালিকরা তাদের গাড়ি নিয়ে চলাচল করতে পারতেন না। অন্য জমির মালিকরা তাকে রাস্তা প্রশস্ত করার অনুরোধ জানান। কিন্তু তিনি তাদের অনুরোধ রাখেননি,” বলেন ওই নারী।তিনি আরো বলেন, আশ্রম নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল প্রায় ৩-৪ বছর আগে। কিন্তু আশ্রমের কার্যক্রম শুরু হয় চলতি বছরের মার্চে। আমরা আশ্রমের পাশেই থাকি, কিন্তু যখন উদ্বোধন করা হয়েছিল তখন তিনি আমাদের একবারের জন্য ও বলেননি।”নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক বলেন,...


Apr 17, 2024

জাতীয়

গণধর্ষণ মামলার আসামির সাথে পুলিশের সখ্যতা!

গণধর্ষণ মামলার আসামির সাথে পুলিশের সখ্যতা!

পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে অপরাধে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছেই। তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, দায়িত্বে অবহেলা ও ঘুষ গ্রহণ ছাড়াও চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, নির্যাতন, ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়, উদ্ধার করা মালপত্র আত্মসাৎ ইত্যাদি অভিযোগ নতুন নয়।এসব অপরাধের সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে চিহ্নিত অপরাধী ও মামলার আসামিদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার অভিযোগ।অভিযোগ রয়েছে, আসামিদের রক্ষার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই মোটা অঙ্কের টাকার লেনদেন হচ্ছে। ধর্ষণ ও মাদক মামলার মতো চিহ্নিত আসামিদেরও মামলা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য নানা প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করা হচ্ছে।এমনকি আসামিদের সঙ্গে সখ্য থাকায় অনেক সময় মামলা নিতে গড়িমসি করারও অভিযোগ বিভিন্ন সময় পাওয়া যায়।সম্প্রতি গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে গণধর্ষণ মামলার আসামির মো. জামাল উদ্দিন সরকার ওরফে সরকার জামালের সাথে সখ্যতার অভিযোগ পাওয়া গেছে।জামাল উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী এবং সবুজবাগ থানায় গনধর্ষণের মামলা রয়েছে। মামলার কপি বাংলাদেশ পোষ্টের কাছে আছে।জামাল উদ্দিন সরকার গনধর্ষণের মামলার আসামী হয়েও বিভিন্ন সময় পুলিশ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের অফিসে যাতায়াত করেন। সূত্র জানায় পুলিশ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলাম যখন যাত্রাবাড়ী থানার ওসি ছিলেন তখন তার সাথে জামাল উদ্দিন সরকারের সখ্যতা গড়ে উঠে। পরবর্তীতে যাত্রাবাড়ী থানা থেকে পুলিশ কর্মকর্তা মাজহারুল ইসলামের বদলি গুলশান থানায় হয়।গুলশান থানায় বদলি হওয়ার পরে জামাল উদ্দিন সরকারের সাথে তার সখ্যতা চলমান থাকে। মাজহারুল ইসলামকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে জামাল উদ্দিন সরকার ফুলের তোরা নিয়ে গুলশান থানায় যান। মাজহারুল ইসলাম সেই ফুল গ্রহন করেন এবং জামাল উদ্দিন সরকারকে হাস্যজল ভাবে জন্মদিনে কেক উপহার দেন।গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলামের সাথে গণধর্ষণ মামলার আসামির মো. জামাল উদ্দিন সরকার ওরফে সরকার জামালের হাস্যোজ্জ্বল ছবিজামাল উদ্দিন সরকার সেই ছবি ফেইসবুকেও পোষ্ট করেন। তাতে জামাল উদ্দিন সরকার লিখেন “নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে গুলশান থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম কাজল আমার প্রিয় ভাই আজ আমার জন্মদিনে কেক উপহার। ভালোবাসা অবিরাম।”বাংলাদেশ পোষ্টের কাছে সেই ছবি সংরক্ষিত আছে।জামাল উদ্দিন সরকার নিজেকে সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় দেন। নিজেকে ‘প্রতিদিনের খবর ডট নেট’ নামে একটি...


Mar 25, 2024

অপরাধ

গৃহকর্মীদের জন্য আইনগত সুরক্ষা অপর্যাপ্ত

গৃহকর্মীদের জন্য আইনগত সুরক্ষা অপর্যাপ্ত

গৃহকর্মীর বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং তাদের উপর নির্যাতন বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্রই ঘটছে, কিন্তু তাদের নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য কোন আইন নেই।আইনি সুরক্ষার অভাবে গৃহকর্মীরা শারীরিক, মানসিক, যৌন হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনের সম্মুখীন হন। অনেক ক্ষেত্রে এর ফলে তাদের অকালমৃত্যু হয়।গৃহকর্মী ইস্যুতে কাজ করা অনেক মানবাধিকার সংস্থা দাবি করে যে গৃহকর্মীর উপর নির্যাতনের হার গণমাধ্যমে যা আসে তার চেয়ে অনেক বেশি। তারা বলেন, নিপীড়করা রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী হওয়ায় অধিকাংশ সময় ভুক্তভোগীরা আইনি সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার পায় না।গৃহকর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সরকার সক্রিয় ভূমিকা না নিলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বলে দাবি করেছে মানবাধিকার সংস্থাগুলো।রাজধানীতে অনেক গৃহকর্মীরা তাদের অসহায় পরিবারকে সহায়তা করার জন্য এখানে এসে মজুরি বৈষম্য ছাড়াও অমানবিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।গত ৬ ফেব্রুয়ারি দ্য ডেইলি স্টারের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল হকের মোহাম্মদপুরের ফ্ল্যাট থেকে পড়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার প্রীতি উরাং (১৫) মারা যান।সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এই গৃহকর্মীর ‘রহস্যজনক মৃত্যুর’ ঘটনায় অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রীতি উরাং-এর অভিভাবকরা এবং বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থা।গৃহকর্মীদের নির্যাতন বন্ধের জন্য ২০১৫ সালে একটি ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি’ প্রণীত হয়েছে। এই নীতিমালা গৃহকর্মীদের ভাগ্য পরিবর্তনে কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি।গৃহকর্মীর স্বার্থ রক্ষায় নয় বছর আগে নীতিমালা করা হলেও আইন প্রণয়নের কোনো উদ্যোগ নেই। এমনকি নীতিমালায় যা করার কথা বলা হয়েছে তার কিছুই করেনি সরকার।নিয়োগ, কর্মঘণ্টা এবং ছুটির বিষয়ে নীতিমালায় যা বলা আছে তার কোনো বাস্তবায়ন আদতে নেই। সরকারের মনিটরিং সেল, হেল্পলাইন এবং নীতি প্রচারের কথা বলা হলেও কিছুই করা হয়নি।যাদের জন্য এই নীতিমালা, তারা জানে না তাদের কী অধিকার আছে, এমনকি যারা গৃহকর্মী নিয়োগ করছে, তারাও জানে না।সংশ্লিষ্টরা বলছে, নীতিমালাটি আইন নয়, তাই মানার বাধ্যবাধকতা নেই। নীতিমালা অনুসরণ না করার জন্য কোন জরিমানা নেই। তাই অবিলম্বে আইন প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছেন তারা।মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, ঢাকাসহ সারা দেশে গত তিন বছরে ৩৬ জন গৃহকর্মী তাদের বাড়িওয়ালার বাড়িতে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ৯০ শতাংশ নির্যাতনের কারণে মারা গেছে...