ন্যাভিগেশন মেনু

প্রথম চালনে পশ্চিমবঙ্গে গেলো ২৩ মেট্রিক টন ইলিশ


শারদীয় দুর্গাপুজোর বাংলাদেশের উপহার (অবশ্য কড়ির বিনিময়ে) হিসেবে ২০৮০ মেট্রিক টন ইলিশের মধ্যে রপ্তানির  প্রথম চালানে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ৫টি ট্রাকে ২৩ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ পেট্রাপোল বন্দরে ঢুকলো।বুধবার বিকেল ৫টায় কাস্টমস ও বন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ইলিশের ট্রাক ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশ করে।

৫টি ট্রাকে করে ২৩ মেট্রিক টন ইলিশ দুপুরে এসে পৌঁছায় বেনাপোল বন্দরে। কাস্টমস ও বেনাপোল মৎস্য অধিদফতরের মান নিয়ন্ত্রণ আধিকারীক মাছের নমুনা পরীক্ষা করে রপ্তানির অনুমতি প্রদান করেন।আজ বাংলাদেশের ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান খুলনার সাউদার্ন ফুড লি. ১৩ মেট্রিক টন ও ঢাকার ইউনিয়ন ভেন্টার লি. ১০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি করেছে।

ভারতের কলকাতার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জেকে ইন্টারন্যাশনাল ও সিদ্ধেশ্বরী এন্টারপ্রাইজ গ্রহণ করেন। এসব ইলিশের সাইজ ১ কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের। যার রফতানি মূল্য এক কেজি পর্যন্ত প্রতি কেজি ৬ মার্কিন ডলার ও এক থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশের মূল্য প্রতি কেজি ১০ মার্কিন ডলার।

 ভারতে ২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন পদ্মার ইলিশ রপ্তানির জন্য দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয় শেখ হাসিনা সরকার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। বাণিজ্য মন্ত্রক রপ্তানি-২ শাখার এক চিঠিতে এই অনুমতি দেওয়া হয়।

ইলিশ রপ্তানির মেয়াদ আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। বেনাপোল মৎস্য অধিদফতরের মান নিয়ন্ত্রণ আধিকারীক মো. ইশতাদুল হক জানান, দুর্গাপুজো উপলক্ষে বুধবার বিকালে থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়েছে। ইলিশ রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত করতে মাঠ পর্যায়ের আধিকারীকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশে ইলিশের উৎপাদন ঘাটতি থাকায় ২০১২ সাল থেকে দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করেছিল সরকার। পরবর্তীতে বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যের সম্পর্কের সূত্র ধরে সরকার ২০১৯ সাল থেকে প্রতিবছর পুজোর আগে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে আসছে।

এমন সৌহার্দ্য মনোভাব দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে ভূমিকা রাখবে বলে সংশ্লিষ্টমহলের আশাবাদ।

এস এস