এয়ার বাবল’ সুবিধার আওতায় ভারতের সঙ্গে কাল শুক্রবার থেকে ফ্লাইট চালু হচ্ছে না। সূত্র জানায়- শেষ মুহূর্তের কিছু প্রস্তুতি সারতে ফ্লাইট চালুর তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এয়ারবাবল চুক্তির আওতায় আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ- ভারতের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে না।
পররাষ্ট্র সচিব বুধবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান। তিনি বলেন, করোনায় স্বাস্থ্য প্রটোকল এবং এয়ার লাইন্সগুলোর প্রস্তুতি সম্পন্ন না হওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে না দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে বিমান চলাচল।
এর আগে গত ২৮ আগস্ট বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানায়, ভারতের সঙ্গে এয়ারবাবল চুক্তির আওতায় আগামী ৩ সেপ্টেম্বর থেকে দুই দেশের মধ্যে বিমান চলাচল শুরু হবে।তবে পিছিয়ে গিয়েছে। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজ আবার আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক বসছে।
গতকালের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ভারতে সম্প্রতি আবার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফ্লাইট চালুর বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ দিয়েছে। এ ছাড়া ভারতের পক্ষ থেকে নতুন শর্তও দেওয়া হয়েছে বৈঠকে।কোনো যাত্রী ভারতে যেতে চাইলে ফ্লাইটের টিকিট আগে পাঠাতে হবে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে। যাচাই-বাছাই শেষে অনুমতি মিললেই কেবল বিমানে চড়তে পারবেন বাংলাদেশিরা।এমতাবস্থায় সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয় বৈঠক।
তবে কবে থেকে ভারতের সঙ্গে ‘এয়ার বাবল’ সুবিধার আওতায় ফ্লাইট চালু হবে সুনির্দিষ্টভাবে জানা না গেলেও সপ্তাহখানিকের মধ্যে সেটি চালু হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। বেবিচককে দেওয়া চিঠিতে ভারত জানিয়েছে, ভারত থেকে যারা প্রবেশ করবে তাদের বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত করোনা বিধি মেনেই আসতে হবে।
আর যারা বাংলাদেশ থেকে ভারত যাবে তাদের নিজ খরচে বিমানবন্দরে করোনা টেস্ট করাতে হবে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এয়ার বাবল চুক্তির এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে কেউ ভারত যেতে পারবে না।এয়ার বাবল চুক্তির সুবিধা নিয়ে পর্যটক ভিসা ছাড়া অন্য সব ক্যাটাগরির ভিসাধারীরা ভারতে যেতে পারতেন।
‘এয়ার বাবল’ চুক্তির শর্তে ভারতের পক্ষ থেকে আগের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাবেন তাদের প্রত্যেককে আবার নতুন করে ভারতীয় ভিসা নিতে হবে। এয়ার বাবল সুবিধায় রোগীর সহযোগী হিসেবে সর্বোচ্চ তিনজনের ভিসা পাচ্ছিলেন। উভয় দেশের যাত্রীদের জন্য ৭২ ঘণ্টার আগের আরটিপিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এস এস
