ন্যাভিগেশন মেনু

বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের কারিগরী সহায়তার নির্দেশ


বন্যা কবলিত মৎস্যখাতের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের কারিগরী সহায়তা দিতে মাঠ পর্যায়ের মৎস্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

একইসঙ্গে বন্যা কবলিত এলাকায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুলাই) মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এসব নির্দেশ দেন মন্ত্রী। তার নির্দেশনা অনুযায়ি সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে নির্দেশনা পত্র পাঠিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

চিঠিতে বলা হয়েছে, বন্যাদুর্গত এলাকায় গবাদিপশু-পাখির রোগব্যাধি প্রতিরোধ ও প্রতিকার কার্যক্রম জোরদারকরণ এবং বন্যাপীড়িতদের পরামর্শ দান ও কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য মাঠ পর্যায়ের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই চিঠিতে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য সম্ভাব্য পদক্ষেপগুলোর চেকলিস্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ও সে অনুযায়ি কার্যক্রম নিতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে বন্যা পরবর্তী মৎস্য চাষে পোনার চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি মৎস্য বীজ উৎপাদন খামারিদের অতিরিক্ত পোনা উৎপাদন ও মজুদ করে পরবর্তীতে ব্যবহারের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ আলোকে সরকারি-বেসরকারি খামারে পোনা মজুদের ব্যবস্থা নেওয়া এবং চাষ করা মাছের সুরক্ষায় করণীয় সম্পর্কে মৎস্য চাষী, উদ্যোক্তা ও খামারিদের পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়ার জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কন্ট্রোল রুম চালু করে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রাণিসম্পদ খাতের সর্বশেষ চিত্র এবং বন্যাকবলিত এলাকায় নেওয়া পদক্ষেপের তথ্য প্রতিদিন মন্ত্রণালয়ে পাঠাচ্ছে।

কন্ট্রোল রুম থেকে ২৯ জুলাই পাওয়া তথ্য অনুযায়ি, বন্যা কবলিত এলাকায় মোট ১২ লাখ ১৯ হাজার ৬শ’ ২২টি গবাদিপশু ও ৪৯ লাখ ৬০ হাজার ৪শ’ ২১টি হাঁস-মুরগি উঁচু জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে। ২৪৯টি ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম গঠন করে ৮১ হাজার ১শ’ ৬৮টি গবাদিপশু ও ৪ লাখ ১৩ হাজার ৬শ’ ৩৪টি হাঁস-মুরগিকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়েছে। বিতরণ করা হয়েছে ১ হাজার ৭শ’ ১৩ মেট্রিক টন গো-খাদ্য।

সিবি/এডিবি