বিশ্ববাসী চাইলেই মহামারি শেষ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মহাপরিচালক টেড্রোস অ্যাধনম ঘেব্রেইয়েসুস।
শুক্রবার (৩০ জুলাই) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় বিশ্বব্যাপী কোভিড -১৯ প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, “মহামারি শেষ হবে যখন বিশ্ববাসী তা চাইবে।”
ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক বলেন, এই ভাইরাসের ডেলটা ধরণটিই এখন বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বলছে, ডেলটা ধরণটি গুটি বসন্তের মতোই সংক্রামক। এটি যারা টিকা গ্রহণ করেছে ও যারা গ্রহণ করেনি, উভয়ের জন্যই সমান সংক্রামক হতে পারে।
তিনি বলেন, ডব্লিউএইচও’র লক্ষ্য হলো সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ প্রতিটি দেশের জনসংখ্যার কমপক্ষে ১০ শতাংশ জনগণকে টিকা দেওয়া। তাছাড়া, এ বছরের শেষের দিকে কমপক্ষে ৪০ শতাংশ এবং আগামী বছরের মাঝামাঝি জনসংখ্যার ৭০ শতাংশকে টিকা দিতে সহযোগিতা করা।
কিন্তু ডব্লিউএইচও প্রধান বলেছেন, এই লক্ষ্য অর্জন "'নেক দূর'।
টেড্রোস বলেছেন, 'এখন পর্যন্ত অর্ধেকের কিছু বেশি দেশ তাদের জনসংখ্যার ১০ শতাংশকে সম্পূর্ণভাবে টিকা দিয়েছে। তাছাড়া এক চতুর্থাংশেরও কম দেশ ৪০ শতাংশ জনগনকে টিকা দিয়েছে। মাত্র তিনটি দেশ ৭০ শতাংশ জনগনকে টিকা দিয়েছে।'
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে, বিশ্বব্যাপী দরিদ্রদের মাঝে ভ্যাকসিন পৌঁছানো কঠিন হবে এবং তারা পিছনে পড়ে যাবে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আগেই সতর্ক করেছিল।
টিকার অসমতার কারণে 'বিশ্ব বিপর্যয়মূলক নৈতিক ব্যর্থতার দ্বারপ্রান্তে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনও বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন বিতরণে অসমতা রয়ে গেছে। সব অঞ্চলই ঝুঁকিতে রয়েছে, তবে আফ্রিকা অঞ্চলের মতো এতো বেশি ঝুঁকিতে আর কেউ নেই।
তিনি আরও বলেন, অনেক আফ্রিকান দেশ টিকা প্রদানের জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে কিন্তু টিকা আসেনি। বিশ্বব্যাপী টিকা প্রদানের ২ শতাংশেরও কম আফ্রিকায় দেওয়া হয়েছে। এই মহাদেশের জনসংখ্যার মাত্র ১.৫ শতাংশ জনগনকে সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছে।
ডব্লিউএইচও প্রধান বলেন, তার সংস্থা একটি জরুরি কার্যক্রম হাতে নিচ্ছে। র্যাপিড অ্যাক্ট-এক্সিলারেটর ডেলটা রেসপন্স (রাডার) নামের এই কার্যক্রম চালু করার জন্য ৭৭০ কোটি ডলার তহবিলের 'জরুরি আহ্বান' জানিয়েছে। এই কার্যক্রমে ডেলটা প্রকরণটির পরীক্ষা, চিকিৎসা ও টিকা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, কোভ্যাক্স; যা নিম্নআয়ের দেশগুলোতে টিকা সরবরাহ করে, তার জন্য আরও অতিরিক্ত তহবিল প্রয়োজন।
এডিবি/
