ন্যাভিগেশন মেনু

বিশ্বে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র বিমোচনে আমরা অগ্রগামী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


বিশ্বের সর্বাধিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি দারিদ্র বিমোচনেও আমরা অগ্রগামী বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগে নাটোরের উত্তরা গণভবন ও রাণী ভবানী রাজবাড়ি পরিদর্শন শেষে সার্কিট হাউজে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বের কারনে দেশ দ্রুত সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে অর্থনৈতিক কূটনীতির সুফল অর্জন করা। বিগত ১১ বছর ধরে আমাদের দেশ গড়ে সাত শতাংশ প্রবৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বের শীর্ষ প্রবৃদ্ধির দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। একই সময়ে দেশের দারিদ্রসীমা অর্ধেক হ্রাস পেয়ে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। আগামী পাঁচ বছরে আরও পাঁচ শতাংশ হ্রাস পাবে।’

ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অনুসৃত “সকলের সাথে বন্ধুত্ব’’ এই পররাষ্ট্র নীতিতে পথ চলছে বাংলাদেশ। সকলের সাথে বৈরীতা পরিহার করে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। পর্যায়ক্রমে দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ উন্নয়নের পথপরিক্রমায় ২০৪১ সালে বঙ্গবন্ধুর চির কাঙ্খিত সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাকালীন স্থবির সময়েও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে করোনা প্রতিরোধ ও চিকিৎসার মেডিকেল সরঞ্জামাদি রপ্তানির সুযোগ তৈরী হয়েছে। ইতোমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৮০ লাখ পিপি পাঠানো হয়েছে। অর্থনৈতিক কূটনীতির সুফল পেতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঁচটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে।’

এরমধ্যে রয়েছে - দেশের মানব সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং দক্ষ জনগোষ্ঠীর জন্যে বিশ্বের নতুন নতুন দেশে কর্মস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা, দেশের অপার সম্ভাবনাময় মানব সম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদসমূহের সহজলভ্যতা বিশ্বের কাছে তুলে ধরে বিদেশী বিনিয়োগের ক্ষেত্র বৃদ্ধি করা, দেশের অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অসামান্য অবদানকে সম্মান দিতে বিদেশে আমাদের মিশনগুলোতে পাসপোর্ট ডেলিভারিসহ প্রযুক্তি নির্ভর সেবার পরিধি দ্রুত ও সহজ করা। মুজিববর্ষ-২০২০ এবং স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী-২০২১ কেন্দ্র করে বিশ্বের কাছে অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশকে তুলে ধরা।

মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, অতিরিক্ত সচিব মোঃ শামসুল হক, মোঃ সাব্বির আহমদ চৌধুরী ও সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খন্দকার, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এফ এম বোরহান উদ্দিন, খন্দকার মোঃ তালহা, মোঃ নজরুল ইসলাম, মোঃ তারিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ সারওয়ার মাহমুদ ও মেহেদী হাসান।

কেআর/এমআইআর/এডিবি