ন্যাভিগেশন মেনু

ভবিষ্যতে দেশেই তৈরি হবে যুদ্ধবিমান: প্রধানমন্ত্রী


ভবিষ্যতে দেশেই যুদ্ধবিমান তৈরির লক্ষ্যেই বাংলাদেশ এগোচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, শুধু যুদ্ধবিমান নয়, একদিন আমরা মহাকাশেও পৌঁছে যেতে পারি, সেই প্রচেষ্টাও আমাদের থাকবে।

রবিবার (২০ ডিসেম্বর) যশোরে বিমানবাহিনীর রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেছেন।

এ সময় করোনা মহামারি আর ঝড়, বন্যা ও জলোচ্ছাসে বিমানবাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘সম্প্রতি লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড এয়ার স্পেস বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বিমান চলাচল, নির্মাণ, গবেষণা, মহাকাশ ও বিজ্ঞান চর্চা হবে। যার মাধ্যমে একদিন আমরা এই বাংলাদেশে যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান ও হেলিকপ্টার তৈরি করতে পারবো।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বঙ্গবন্ধু প্রতিরক্ষা নীতি তৈরি করেছেন। একই ধারাবাহিকতায়, ২১ বছর পর রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে বিমানবাহিনীর উন্নয়নে জোর দিয়েছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে বিমানবাহিনীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।’

সরকারপ্রধান বলেছেন, ‘আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনেও এই বিমানবাহিনীর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো দিক দিয়েই বাংলাদেশ যাতে পিছিয়ে না থাকে, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। এজন্য দায়িত্ববোধ ও দেশপ্রেম থাকতে হবে, জাতির পিতার নির্দেশ মেনে চলতে পারলে সততার সাথে দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিতে পারবো।’

এ সময় ফোর্সেস গোল-২০৩০’ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিমান বাহিনীকে উন্নত ও আধুনিকায়নে ভবিষ্যতে আরও আধুনিক উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন যুদ্ধবিমান ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি ক্রয়ের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে কমিশন প্রাপ্ত হয়েছেন ৬৭ জন অফিসার ক্যাডেট। এদের মধ্যে নারী অফিসার ২০ জন। বাফা কোর্সে কৃতিত্বের জন্য চার অফিসার ক্যাডেটকে দেওয়া হয় সোর্ড অব অনার, বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ট্রফি, কমান্ড্যান্টস ট্রফি এবং চিফ অব এয়ার স্টাফ পদক।

৭৭তম বাফা কোর্স ও ডিরেক্ট এন্ট্রি কোর্সের কমিশন প্রাপ্তি উপলক্ষে যশোরে বিমান বাহিনী অ্যাকাডেমি প্যারেড গ্রাউন্ড অনুষ্ঠিত হয় রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ ২০২০।

সিবি/এডিবি