ন্যাভিগেশন মেনু

বড়লেখায় ঘরে বসেই টিকার নিবন্ধন করতে পারবেন প্রবাসীরা


প্রবাসীদের কোভিট-১৯ ভ্যাকসিন নিবন্ধন ভোগান্তি কমাতে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেছে মৌলভীবাজার বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন। প্রবাসীদের দোরগোড়ায় উপজেলা প্রশাসন - নামে সেবা চালু করেছেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এই সেবা পেতে উপজেলা হটলাইন নাম্বারে কল দিলে সেবাদানকারী দল প্রবাসীর বাড়িতে চলে যাবে। এতে অতিরিক্ত কোন ফি প্রদান করতে হবে না উপকারভোগীদের। ঘরে বসে এমন সেবা চালু হওয়ায় খুশি প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রবাসীরা।

উপজেলা প্রশাসন জানায়, দশটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা বড়লেখা। সেখান থেকে জেলা সদরের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। বড়লেখা প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। মধ্যপ্রাচ্যেসহ বিভিন্ন দেশে বড়লেখা উপজেলার অসংখ্য মানুষ স্থায়ী ও অস্থায়ীভাবে বসবাস করেন। চলমান করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ছুটিতে দেশে আসা প্রবাসী ও বিদেশগামী কর্মীদের জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস অথবা  অ্যাপসে ভ্যাকসিন নিবন্ধন করতে সম্প্রতি গণবিজ্ঞপ্তি দেয় সরকার।

এ অবস্থায় লকডাউন পরিস্থিতিতে বড়লেখা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে জেলা সদরে গিয়ে প্রবাসীদের লাইনে দাঁড়িয়ে ভ্যাকসিনের নিবন্ধন করা অত্যন্ত কষ্টকর। প্রবাসীদের ভোগান্তি কমাতে এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নেন বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী।

বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে তিন জন ডিজিটাল সার্ভিস প্রোভাইডারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রয়োজনীয় ল্যাপটপ, ইন্টারনেট ও একটি গাড়ীসহ এই ভ্রাম্যমাণ টীম তৈরী করেছে। প্রবাসীদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে কাজ করছে ভ্রাম্যমাণ এই টীম ।

এছাড়াও উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও বড়লেখা পৌরসভায় ডিজিটাল সেন্টারে এই সুবিধা পাবেন প্রবাসীরা। নিবন্ধন করতে প্রবাসীদেরকে শুধুমাত্র সরকার নির্ধারিত ফি বিকাশ এর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়। জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সাথে সমন্বয় করে নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন করছে বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন।

বড়লেখার নিজবাহাদুর পুর ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী আব্দুল হাফিজ আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, লকডাউনে জেলায় গিয়ে ভ্যাকসিন নিবন্ধন করা নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। ইউএনও স্যার আমাদের এই কষ্ট দূর করে দিয়েছেন। নিজের বাড়ীতে বসে দ্রুত ভ্যাকসিন নিবন্ধন করেছি। আমার মতো উপজেলার সকল প্রবাসীরা এই সেবা পেয়ে চিন্তামুক্ত হবে।

বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী আজকের বাংলাদেশ পোস্টকে বলেন, লকডাউনে টিকার নিবন্ধনের জন্য জেলা শহরে যাওয়া প্রবাসীদের জন্য অনেক কষ্ট কর এবং ব্যয়বহুল। তাই তাদের জন্য নিবন্ধন কার্যক্রম আরো নিরাপদ ও সহজতর করার লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে আমাদের এই উদ্যোগ। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ভ্রাম্যমাণ টিম গঠন করেছি দক্ষ উদ্যোক্তাদের নিয়ে। এতে প্রবাসীদের করোনা ভ্যাকিসন নিবন্ধন ভোগান্তি কমে আসবে।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান জানান,রেমিটেন্স যোদ্ধাদের যাতে কোন ভোগান্তি না পোহাতে হয় সেজন্য বড়লেখা উপজেলায় এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। বিদেশগামীদের ভ্যাকসিন নিবন্ধন সেবা প্রদানে পযায়ক্রমে আরো ৪টি উপজেলায় এমন উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।

গত ৪ জুলাই দুপুরে প্রবাসীদের দোরগোড়ায় উপজেলা প্রশাসন নামে বড়লেখায় ভ্রাম্যমাণ ভ্যাকসিন নিবন্ধন কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। 

পিডি/সিবি/ওআ