ন্যাভিগেশন মেনু

ভিয়েতনামে বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী পালিত


বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় এবং ভাবগম্ভীর পরিবেশে পালন করেছে হ্যানয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস।

দিবসটি স্মরণ ও পালন উপলক্ষে দোয়া ও প্রার্থনা, ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং মাননীয় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ, আলোচনা ও স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।    

রবিবার (৮ আগস্ট) স্মরণ সভার প্রারম্ভে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এঁর পরিবারের অন্যান্য শহীদদের রূহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও প্রাথনা এবং বঙ্গমাতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা, মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে মান্যবর রাষ্ট্রদূত আগত অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। মান্যবর রাষ্ট্রদূত স্মরণ সভায় বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এই মহিয়সী নারীর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। তিনি বলেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব বাঙালির অহংকার, নারী সমাজের প্রেরণার উৎস। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন সাহসী ও দৃঢ়চেতা। তিনি কেবল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণীই ছিলেন না, বাঙালির মুক্তিসংগ্রামেও তিনি ছিলেন অন্যতম কান্ডারী। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের নেপথ্যেও প্রধান প্রেরণাদাত্রী ছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব।

মান্যবর রাষ্ট্রদূত আরো বলেন বঙ্গমাতা ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও পরোপকারী। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পত্নী হয়েও তিনি সবসময় সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন আদর্শ বাঙালি নারী প্রতিকৃতি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট কালরাতে স্বামী-পুত্র-পুত্রবধুসহ নিকট আত্মীয়ের সাথে তিনি ধানমন্ডির নিজ বাসভবনে স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে নির্মমভাবে শহীদ হন। তিনি আরো বলেন বঙ্গমাতা যে আদর্শ ও দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা যুগে যুগে বাঙালি নারীদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।

আলোচনা শেষে বঙ্গমাতার কর্মময় জীবনের উপর একটি প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে শিশু ও কিশোরদের উপস্থিতিতে কেক কেটে দিবসটি উদ্যাপন করা হয়। উল্লেখ্য যে, বর্তমানে কোভিড মহামারির উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ভিয়েতনাম সরকার জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং স্বাস্থ্যবিধির উপর কড়াকড়ি আরোপসহ গত ২৪ জুলাই ২০২১ হতে লকডাউন ঘোষণা করে যা এখন পর্যন্ত চলমান আছে। এ পরিস্থিতিতে মান্যবর রাষ্ট্রদূতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পরিবারবর্গের উপস্থিতিতে দিবসটি ‘ইন-হাউজ’ উদ্যাপন করা হয়।    

ওআ/