ন্যাভিগেশন মেনু

ভিয়েনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন


অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থায়ী মিশন কর্তৃক যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন করা হয়েছে।

রবিবার (৭ মার্চ) সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে দিবসটি উপলক্ষে গৃহীত কার্যক্রম শুরু হয়।

দূতাবাসের কর্মকর্তাসহ অস্ট্রিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এদিন বিকেলে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে অনলাইনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক।

আলোচনাসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, অস্ট্রিয়া, হাঙ্গেরি, স্লোভেনিয়া ও স্লোভাকিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাঙালি, সাংবাদিক, ছাত্র-ছাত্রীসহ বিভিন্ন ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বলেন, 'আমরা প্রত্যেকই স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করার সাহস ও অনুপ্রেরণা পাই।'

তিনি বলেন, '৭ই মার্চের ভাষণ শুধু এ দেশের নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের নয়, এ ভাষণ বিশ্বের নানা প্রান্তের নিপীড়িত জনগণের মুক্তির গান। এ জন্যই বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভাষণসমূহের একটি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণকে ইউনেস্কো স্বীকৃতি দিয়েছে।' 

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক মফিদুল হক তার উপস্থাপনায় ৭ মার্চের ভাষণের ঐতিহাসিক পটভূমি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এই ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য, বিশ্বপরিমন্ডলে এই ভাষণের অবস্থান এবং ইউনেস্কো কর্তৃক এই ভাষণকে International Memory of the Word Register-এ অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ একটি নতুন ধারার জাতীয় মুক্তি আন্দোলন ও একটি জাতি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অনস্বীকার্য অবদান রেখেছে। ভাষাভিত্তিক অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তা, পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায় এবং সংঘাতের বিপরীতে সম্প্রীতির বিজয় অর্জনে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ যুগযুগ ধরে অনুপ্রেরণা দিয়ে যাবে।'

অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সকল শহীদ, মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

ওয়াই এ/এডিবি