ন্যাভিগেশন মেনু

ভোলা কাণ্ডে জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা


সংখ্যালঘু যুবকের ফেসবুক হ্যাক করে কটুক্তি ছড়িয়ে ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিনে বাড়ি ঘরে হামলা করা হয়। হামলাকারীদের থামাতে গেলে তারা উল্টো পুলিশের ওপর চড়াও হয়।

এ  অবস্থায় পুলিশের গুলিতে ৪ জনের মৃত্যু ঘটে। ওই কাণ্ডের ঘটনা খতিয়ে দেখতে জেলা প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির প্রধান স্থানীয় সরকার বিভাগ ভোলার উপ-পরিচালক মামুদুর রহমান শনিবার জেলা প্রশাসক মাসুদ আলম সিদ্দিকের কাছে ১৫ পৃষ্ঠার এ প্রতিবেদন জমা দেন।

মামুদুর রহমান বলেন, তিনদিন মেয়াদের কমিটির গত বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা ছিল। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে দুই দিন সময় বাড়িয়ে পঞ্চম দিনে তা জমা দিলেন।

তবে প্রতিবেদনে কী আছে- সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে তিনি বলতে রাজি হননি। তিনি বলেন, না বলার বিষয়ে  উচ্চ আদালতের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন ভোলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আইসিটি ও শিক্ষা  আতাহার মিয়া ও সদর সারকেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহসিন আল ফারুক।

একই ঘটনায় পুলিশও আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির প্রধান হলেন বাহিনীর বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি। এই কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এক হিন্দু তরুণের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে নবী সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য ছড়ানোর পর ‘মুসলিম তাওহিদী জনতা’র ব্যানারে গত রবিবার ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলা শহরে সমাবেশ ডাকা হয়।

সেখান থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘাতে জড়ায় কয়েকশ মানুষ। দফায় দফায় সংঘর্ষে এক মাদ্রাসাছাত্রসহ চারজন নিহত হয়।  আহত হন ১০ পুলিশসহ শতাধিক। পরে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত শুক্রবার বিকালে ওই তরুণের ফেসবুক আইডি থেকে কুরুচিপূর্ণ একটি মেসেজ তার কয়েকজন ফেসবুক বন্ধুর কাছে যায়।

এক পর্যায় কয়েকটি আইডি থেকে ‘মেসেজটির স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়ানো হয়। এরপর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ফেসবুকে প্রতিবাদ শুরু হয়।এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর ওই তরুণ বোরহানউদ্দিন থানায় জিডি করেন। ঘটনার শিকার বিপ্লবচন্দ্র বৈদ্য শুভসহ পাঁচজনকে সংঘাতের দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

এস এস

বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুনঃ https://www.ajkerbangladeshpost.com