ন্যাভিগেশন মেনু

মৌলভীবাজারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত ৬৮ হাজার পশু


আর ক'দিন বাদেই পবিত্র ঈদুল আজহা। এই ঈদকে সামনে রেখে মৌলভীবাজার জেলায় ৬৮ হাজার ৩১১টি গবাদিপশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

জেলার সাতটি উপজেলায় রয়েছে আড়াই হাজার গবাদিপশুর খামার। এ পশুগুলোর মধ্যে রয়েছে গরু, মহিষ, ছাগল এবং ভেড়া। 

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, জেলার শতভাগ গরু প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে মোটাতাজা করা হয়।

কথা হয় রাজনগর উপজেলার ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম বাবরের সাথে। শখের বশে চারটি দিয়ে শুরু করে তার খামারের মূলধন এখন কোটি টাকার ওপরে। নুরুল ইসলামের খামারে এখন বিভিন্ন জাতের ৩৭টি গরু রয়েছে।

তিনি বলেন, গত বুধবার হলস্টেইন-ফ্রিজিয়ান জাতের একটি গাভী একসঙ্গে দুটি বাছুর প্রসব করেছে। ঈদের বাজারে বিক্রির জন্য প্রস্তুত আছে আমার গরুগুলো। অর্ধকোটি টাকা বিনিয়োগ আর প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহযোগিতায় এমন সুফল পেয়েছেন তিনি।

প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের মাঠ পর্যায়ের জরিপে জানা গেছে, করোনা সংক্রমণের কারণে বহু প্রবাসী এবার দেশে আসতে পারছেন না। ফলে চাহিদা খুব বেশি হবে না। চাহিদা যতটুকু হবে, তা স্থানীয় গবাদিপশুই পূরণ করবে বলে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ধারণা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আসন্ন পবিত্র কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে জেলায় ৬৮ হাজার ৩১১টি পশু মজুদ রাখা হয়েছে। জেলায় খামারি রয়েছেন ২ হাজার ৩৬৫ জন। খামারিদের গরু-মহিষের সংখ্যা ৪৭ হাজার ২৫২টি এবং ছাগল-ভেড়ার সংখ্যা ২১ হাজার ৫৯টি।

খামারি ওদুদ আহমদ বলেন, 'আমার খামারে এখন ২৫ টি গরু রয়েছে। গত ৫ বছর থেকে গরুর খামার করে আসছি। এখনো আমার খামারের গরু একটিও বিক্রি করতে পারনি। আমিসহ ৪ জন লোক নিয়মিত খামারে কাজ করি৷ অপরিকল্পিতভাবে পশু মোটাতাজা করার জন্য আমি কোনো প্রকার ওষুধ ব্যবহার করছি না। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ভালো খাবার খাওয়ানোর মধ্যমে এবং সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে আমি গরু মোটাতাজা করছি। তবে এসব গরুগুলোর চাহিদা বেশি।'

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো আব্দুস সামাদ বলেন, বর্তমান সময়ে করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। সাত উপজেলাসহ জেলায় সরকারিভাবে ৯টি অনলাইনভিত্তিক কোরবানির পশু বিক্রয় কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। বেসরকারি আরও ৩টি সহ মোট ১২টি অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরি করা হয়েছ।

তিনি বলেন, 'জেলার বিভিন্ন খামারে আমি পরিদর্শন করে সবচেয়ে ভালো লেগেছে খামিরারা কৃত্রিমভাবে পশু মোটাতাজা করতেছে না। কৃত্রিম উপায়ে কেউ যাতে গরু মোটাতাজাকরণ করতে না পারে তা নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। গত কয়েকদিন আগে বাছাইকৃত ৫৫০ জন খামারিকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য জেলার চেয়ে মৌলভীবাজারের পশুগুলো শতভাগ প্রাকৃতিক ভাবে মোটাতাজা করা হয়।'

তিনি আরও বলেন, 'জেলার গরুগুলো কৃত্রিম উপায়ে মোটাতাজা করা হয় না বলে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝেও বেশ সাড়া ফেলেছে এসব ফার্মের গরু।'

এসএইচ/সিবি/এডিবি/