ন্যাভিগেশন মেনু

মৌলভীবাজারে লকডাউনে ৪৭ মামলা, আটক ২৭


মৌলভীবাজারে লকডাউনের চতুর্থদিনে শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মাঠে তৎপর সেনাবাহিনী-পুলিশ-বিজিবি ও র্যাব। যারা ঘর থেকে বের হচ্ছেন তাদেরকে মুখোমুখি হতে হচ্ছে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর। সদর উপজেলায় রবিবার (৪ জুলাই) দুপুর ১টা পর্যন্ত সদর উপজেলায় ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত শপিংমল, মার্কেট খোলা রাখা, অটোরিকশা ও প্রাইভেটকার চলাচল, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাইরে অবস্থান করায় ৪৭ ব্যাক্তিকে ২৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। এ সময় বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২৭ ব্যক্তিকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

রবিবার সকাল থেকেই লকডাউন বাস্তবায়নে শহরের শমসেরনগর রোড, চাঁদনীঘাট, চৌমোহনা, পশ্চিম বাজার, কুসুমবাগ, বাসষ্ট্যান্ড এলাকাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর বড় কাঁচাবাজারগুলোতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের চেকপোস্ট।

শহরের সড়কগুলোতে মোটরসাইকেল, রিকশা, প্রাইভেটকার থামানো হচ্ছে। যৌক্তিক কারণ থাকলে তাদের যেতে দেওয়া হচ্ছে।

গত তিন দিনের মতো শহরের রাস্তায় গাড়ির উপস্থিতি খুব একটা চোখে পড়েনি। খাবার ও ওষুধের দোকান ছাড়া সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিলো বন্ধ।

জেলা প্রশাসন আরও জানায়, জেলায় ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে। মৌলভীবাজার সদরে ১০টি আর অন্য ছয় উপজেলায় ১২টি টিম মাঠে রয়েছে। এসব ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনাররা। এতে সহযোগিতা করছে ৭ প্লাটুন সেনাবাহিনী, ৩ প্লাটুন বিজিবি, ২ প্লাটুন র্যাব, ২ প্লাটুন আনসার ও ৯টি টিমে রয়েছে জেলা পুলিশের সদস্যরা।

জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, 'জেলায় করোনা সংক্রমণ উধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে জেলাব্যাপী প্রশাসন তৎপর রয়েছে। এতে সহযোগিতা করছেন জনপ্রতিনিধি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা। যারা বিধিনিষেধ অমান্য করছে তাদের সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইনে মামলায় জরিমানা করা হচ্ছে। এছাড়া কিছু ব্যক্তিকে সাময়িক আটক করা হচ্ছে। যেন তাদের মধ্যে আইন না মানায় অনুশোচনা তৈরি হয়।

পিডি/এডিবি/