ন্যাভিগেশন মেনু

রাজধানী ঢাকার ৯টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচী


রাজধানী ঢাকার ৯টি কেন্দ্রে শুরু হয়েছে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন টিকাদান কর্মসূচী। কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা শহরের ৯টি কেন্দ্রে বুস্টার ডোজ অর্থাৎ ৩য় এবং চতুর্থ ডোজ ফাইজার ভিসিভি ভ্যাকসিন প্রদানের কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্মুখসারির স্বাস্থ্যকর্মী, ৬০ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠী, স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্নপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছর এবং তদূর্ধ্ব) জনগোষ্ঠী ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রাধান্য দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

প্রাথমিক পর্যায়ে ঢাকা শহরের ৯টি কেন্দ্রে বুস্টার ৩য় এবং ৪র্থ ডোজ ফাইজার ভিসিভি ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। কেন্দ্রগুলো হলো— বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মিডফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়া সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, জাতীয় নাক কান গলা ইনস্টিটিউটসহ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার কিছু জায়গায় টিকা দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় টিকা কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিয়েছি। টিকা কার্যক্রম চলছে’। সবাইকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স বিভাগের সদস্য সচিব ডা. মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দেশব্যাপী আবারও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে ফাইজার কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম শিগগিরই শুরু করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এতে আরও বলা হয়েছে, নতুন কোনো রূপ ছড়ানোর আশঙ্কা না থাকলেও দ্রুত টিকা দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। এরপর ঢাকার বিভিন্ন বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান ও সরকারি হাসপাতাল, ঢাকার বাইরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে ভ্যাকসিন বিতরণের মাধ্যমে ধাপে ধাপে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।  

 ৩য় ও ৪থ ডোজ টিকা প্রাপ্তির প্রমাণ হিসেবে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্ডে উল্লেখিত ভ্যাকসিনের নাম ও তারিখ সহ সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে প্রদান করা হবে। 3য় এবং 4র্থ ডোজ টিকা দেওয়ার জন্য, সুরক্ষা ওয়েবসাইট বা অ্যাপ থেকে টিকা কার্ডটি ডাউনলোড করুন এবং এটি আপনার সাথে নিয়ে যান।

আরও উল্লেখ্য যে, টিকা দান কর্ম সূচীর শুরু থেকে দেশে ২৫ কোটির বেশি ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। সাড়ে ১১ কোটির বেশি মানুষ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে।

বাংলাদেশ সরকার, ইউনিসেফ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও অন্যান্য অংশীদারদের সহযোগিতায় গণটিকা কার্যক্রমের মাধ্যমে কয়েক দিনের মধ্যে কোটি মানুষকে টিকা দিতে সক্ষম হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত এই ক্যাম্পেইনের আওতায় এক কোটি ৭০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়।