ন্যাভিগেশন মেনু

রাজবাড়ীর ৩ পয়েন্টে পদ্মার পানি বিপদসীমার উপরে


রাজবাড়ীতে গত ১ সপ্তাহ ধরে পদ্মার পানি বেড়েই চলছে। আজও রাজবাড়ীর ৩টি গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে রাজবাড়ীর জেলার পাশ দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা নদীর পানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানা গেছে।

শনিবার (২১আগস্ট) পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ‘শনিবার সকাল ৬টায় পরিমাপকৃত তথ্য অনুয়ায়ী রাজবাড়ীর তিনটি গেজ স্টেশন পয়েন্টেই পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ীর তিনটি গেজ স্টেশনের মধ্যে পাংশা সেনগ্রাম গেজ স্টেশন পয়েন্টে পদ্মার পানি ৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়াও সদরের মহেন্দ্রপুর গেজ স্টেশন পয়েন্টে ১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার ও গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া গেজ স্টেশন পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর রয়েছে।‘

এদিকে পানি বিপদসীমা অতিক্রম করায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এ ছাড়াও নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে রাজবাড়ীর জেলার কয়েকটি গ্রামের হাজারো পরিবার।

এ বিষয়ে রাজবাড়ীর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল আহাদ জানান, ‘পদ্মা নদীর পানি ভয়াবহ আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটসহ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। বিশেষ করে কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের হরিনবাড়িয়া ও রতনদিয়া, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবগ্রাম ইউনিয়ন, সদরের বরাট, সেলিমপুর, খানগঞ্জ, মিজানপুরের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়বে।’

জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা আরিফুল হক বলেন, ‘এখনো কোনও এলাকা প্লাবিত হয়েছে এমন খবর পাইনি। তবে নদীর তীরবর্তী এলাকায় পানি উপরে উঠে এসেছে। আমাদের বন্যা মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে।’

রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বলেন, ‘পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যহত রয়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা যাচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে সহায়তা দেওয়া হবে।’

কেআরআই/এমআইআর/এডিবি/