ন্যাভিগেশন মেনু

রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জনে মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার ২০ ঘণ্টা পর কারখানার ভেতর থেকে এক এক করে মরদেহ বের করে আনা হয়। ইতোমধ্যে ৪৯টি পোড়া মরদেহ বের করা হয়েছে এবং মরদেহগুলো ফায়ার সার্ভিসের তিনটি অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে।

এর আগে, তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া যায়। আহত হন অন্তত ৫০ জন।

শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুর দুইটার দিকে কারখানার সামনে ফায়ার সার্ভিসের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, কারখানার পোড়া ধ্বংসস্তূপ থেকে এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভেতরে আরও মরদেহ থাকতে পারে, সেজন্য আরও তল্লাশিতে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জানান, ইতোমধ্যে ৪৯টি মরদেহ ফায়ার সার্ভিসের ৫টি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। সেখানে পরিচয় শনাক্তের পর লাশগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে আসলেও ৬ তলায় আগুন এখনো নেভানো সম্ভব হয়নি।

অপেক্ষারত স্বজনরা জানান, এখন শুধু মরাদেহের জন্য অপেক্ষা। সব শেষ হয়ে গেলো এই আগুনে। 

এদিকে, অনেকেই ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে বাঁচার চেষ্টা করে গুরুত্বর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের অনেককেই স্থানীয় হাসপাতালের পাশাপাশি ঢাকা মেডিক্যালসহ ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জ জেলার উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছিল ভোরের দিকে, সকালে আবারও বেড়ে যায় আগুন। আমরা কাজ করছি। লাশের সংখ্যা আপাতত এখানে ৪৮ এবং আগে ৩ জন মোট ৫১ জন মারা গেছেন।

তিনি আরও জানান ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। পুরোটাই পুড়ে গেছে কারখানার, আগুনের সূত্রপাত নিশ্চিত নয়, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও অনেক।

শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কর্ণগোপ এলাকায় সেজান জুস কারখানায় প্রায় সাত হাজার শ্রমিক কাজ করেন। সাততলা ভবনে থাকা কারখানাটির নিচতলার একটি ফ্লোরের কার্টন থেকে হঠাৎ আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এক পর্যায়ে আগুন পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় কালো ধোয়ায় কারখানাটি অন্ধকার হয়ে যায়। এক পর্যায়ে শ্রমিকরা ছোটাছুটি করতে শুরু করে। কেউ কেউ ভবনের ছাদে অবস্থান নেন। আবার কেউ কেউ ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়তে শুরু করেন।

> রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় আগুন, ৪৯ মরদেহ উদ্ধার

> রূপগঞ্জে কারখানায় আগুনে ৪ জনের মৃত্যু, আহত অর্ধশত 

এমএইচএস/এডিবি/