ন্যাভিগেশন মেনু

র‍্যাবের তিন ম্যাজিস্ট্রেটের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাতিলের আবেদন


আদালতে র‍্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরোয়ার আলম, আক্তারুজ্জামান ও নিজাম উদ্দিনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ক্ষমতা (ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা) বাতিল করতে হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন করেছে চিলড্রেন’স  চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (সিসিবি ফাউন্ডেশন)-এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও সংস্থাটির পরিচালক অ্যাডভোকেট ইশরাত।

বুধবার (১১ মার্চ) তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যাবহারের অভিযোগ এনে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদন করা হয়।

চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ‘আইনে মানা, তবুও ১২১ শিশুর দণ্ড’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম।

প্রতিবেদনে র‍্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক ১২১ জন শিশুকে সাজা দিয়ে তাদের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানোর তথ্য উল্লেখ করা হয়।

আবেদনে কয়েকটি অভিযোগের কথা তুলে ধরা হয়েছে: একই সময়ের মধ্যে দুই জায়গায় ( শিশুমেলা ও ফার্মগেট) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা, যা ক্ষমতার অপব্যবহার। এক ধারার অপরাধ দেখিয়ে ভিন্ন ধারায় চার্জ গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও একই সাক্ষী বারবার বিভিন্ন জায়গায় সাক্ষী দিয়েছেন।

এছাড়াও চলন্ত ভ্যান থেকে কলা চুরির অপরাধে ছয়মাসের সাজা দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে যা ভ্রাম্যমাণ আদালত দিতে পারেন না।

দণ্ডবিধির ৮৩ ধারা অনুযায়ী, ৯, ১০ ও ১১ বছর বয়সী শিশুদের সাজা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ১২ বছরের নিচের শিশুদের সাজা দেওয়া যায় না।

জোর করে শিশুদের স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে যা সংবিধানের ৩৩ ও ৩৫ অনুচ্ছেদের লঙ্ঘন।

এছাড়াও শিশুদের মধ্যে যাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত দণ্ড দিয়েছেন, তাদের দ্রুত শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র বা হাজত থেকে ছেড়ে দিতেও নির্দেশ দেন আদালত।

এদিকে হাইকোর্ট ভ্রাম্যমান আদালত কর্তৃক শিশুদের দণ্ড দেওয়াকে অসাংবিধানিক, অবৈধ এবং বাতিল বলে ঘোষণা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক পরিচালিত শিশুদের দণ্ডপ্রদানের বিষয়টি শিশু আইন এবং দণ্ডবিধির বিধি বহির্ভূত হওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দণ্ড কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও আদালত রুল জারি করেন। সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এসব রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ওয়াই এ/এডিবি

একই ধরণের সংবাদ পেতে এখানে ক্লিক করুন