ন্যাভিগেশন মেনু

শপথ নিলেন ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট রাইসি


ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন ইব্রাহিম রাইসি।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রাইসি বলেন, 'আমি আনুষ্ঠানিক ধর্ম, ইসলামী প্রজাতন্ত্র এবং দেশের সংবিধান সুরক্ষিত রাখার শপথ করছি।'

গত জুনে বিপুল ভোটে অতি রক্ষণশীল ষাট বছর বয়সী এই প্রাক্তন বিচারপতি জয়লাভ করেন।

দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি, ইরাকের প্রেসিডেন্ট বারহাম সালিহ এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের ফরেন অ্যাকশন বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিক মোরা।

তাছাড়া, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং হিজবুল্লাহর ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল নাইম কাসেমও সেখানে ছিলেন।

রাইসি এমন এক সময়ে দায়িত্ব নিলেন, যখন ইরান যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাসহ বড় কিছু অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনির ঘনিষ্ঠ এবং কট্টরপন্থী ধর্মীয় নেতা ইব্রাহিম রাইসি নির্বাচনে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির আমলে ইরানে যে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে, তিনি সেসব মোকাবেলা করবেন।

এর আগে তিনি দেশটির বিচার বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার রাজনৈতিক মতাদর্শও অত্যন্ত কট্টর। অনেক ইরানি নাগরিক এবং মানবাধিকার কর্মী মনে করেন, ১৯৮০-এর দশকে রাজনৈতিক বন্দীদের গণহারে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পেছনে তার ভূমিকা ছিল।

ইব্রাহিম রাইসির জন্ম ১৯৬০ সালে ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশহাদে যেখানে শিয়া মুসলিমদের পবিত্র মাজার অবস্থিত। ইসলামের নবীর অনুসারী শিয়াদের প্রথা মতো মি. রাইসি মাথায় কালো পাগড়ি পরেন। ১৫ বছর বয়সে তিনি পিতার পথ অনুসরণ করে পবিত্র শহর কওমের একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা শুরু করেন। 

ছাত্র থাকা কালেই তিনি পশ্চিমা-সমর্থিত শাহের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেন। আয়াতোল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনি নেতৃত্বাধীন এক ইসলামিক বিপ্লবে ১৯৭৯ সালে শাহের পতন ঘটে।

গত মঙ্গলবার রাইসি এক ভাষণে বলেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের চাপিয়ে দেওয়া নিপীড়নমূলক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করানোর চেষ্টা করবেন এবং দেশের অর্থনীতিকে বিদেশিদের ইচ্ছে অনুযায়ি চলতে দেবেন না।

ইরান ২০১৫ সালে নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়ে তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি সীমিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে যে চুক্তি সই করেছিল, সেই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্র ২০১৮ সালে সরে দাঁড়িয়ে ইরানের ওপর সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করে।

এডিবি/