ন্যাভিগেশন মেনু

সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরে খাবার


’শিশুদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে সারাদেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুপুরে খাবারের ব্যবস্থা করা হবে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় স্কুল মিল নীতি ২০১৯’ এর অনুমোদন দেন।

তিনি বলেন, সারা দেশে বর্তমানে ৬৬ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু হবে। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয় এই কর্মসূচির আওতায় আসবে।

নীতিমালার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ছে এমন ৩ থেকে ১২ বছরের শিশুদের জন্য এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে। তাদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তি চাহিদার ক্যালরির ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্কুল মিল থেকে আসা নিশ্চিত করতে হবে।’

এ বিষয়ে তিনি আরো জানান, বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, উপ-আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সহকারী উপপরিচালক, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষেত্রে পার্বত্য জেলা পরিষদ এ কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত থাকবে।

এই কর্মসূচির আওতায় প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য কি পরিমাণ খরচ হবে তারও একটা ধারণা দেন গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘শুধু বিস্কুট দিলে প্রতিদিন প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য ৯ টাকা হারে বছরে ২ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা লাগবে। পাঁচ দিন রান্না করা খাবার ও এক দিন বিস্কুট দিলে খরচ হবে ৫ হাজার ৫৬০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। বিস্কুট এবং ডিম, কলা ও রুটি দিলে ২৫ টাকা হারে খরচ হবে ৭ হাজার ৪৭৫ কোটি টাকা হবে।

সিবি