ন্যাভিগেশন মেনু

সাতক্ষীরায় স্বামী হত্যায় স্ত্রীর যাবজ্জীবন


সাতক্ষীরায় স্বামীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যার দায়ে স্ত্রীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন - মেহেরুন্নেছা (৪০)। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার সরাফপুর গ্রামের জাকির হোসেন সরদার ওরফে ছোট বাবুর স্ত্রী। তিনি বর্তমানে পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালে মেহেরুন্নেছার সঙ্গে একই উপজেলার সরাফপুর গ্রামের জহির সরদারের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী ছোট বাবুর বিয়ে হয়। বিয়ের পরও মোবাইল ফোনে মেহেরুন্নেছা তালাক দেওয়া স্বামীর সঙ্গে কথা বলতো। এ নিয়ে মেহেরুন্নছা ও ছোট বাবুর বিরোধ চলে আসছিলো।

এর জেরেই মেহেরুন্নছা তার স্বামী ও শাশুড়িকে খুনের হুমকি দেন। পরে ২০১৪ সালের ৩ অক্টোবর বিকেলে খাটের উপর শুয়ে থাকা স্বামী ছোট বাবুকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে স্ত্রী মেহেরুন্নেছা। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

এ ঘটনায় নিহতের ভাই আজাহারুল সরদার বাদী হয়ে মেহেরুন্নেছার নাম উল্লেখ করে পরদিন থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশাশুনি থানার উপপরিদর্শক মনোজ কুমার নন্দী ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর এজাহারভুক্ত মেহেরুন্নেছার নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। জামিনে মুক্ত হয়ে মেহেরুন্নেছা পালিয়ে যায়।

মামলার নথি ও ১২ জন সাক্ষীর জবানবন্দি পর্যালোচনা শেষে আসামি মেহেরুন্নেছার বিরুদ্ধে নিজের স্বামীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

ওয়াই এ/এডিবি