ন্যাভিগেশন মেনু

সীমান্তে শিশুদের সচেতন করতে বিজিবিকে হাইকোর্টর নির্দেশ


শিশুরা চোরাচালানসহ কোনো অপরাধে যেনো জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সীমান্তের স্কুলগুলোতে সচেতনতামূলক কার্যক্রম নেওয়ার জন্য বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (৭ অক্টোবর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

সিলেটের জৈন্তাপুরে অপরাধমূলক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে এক শিশুকে মামলার আসামি করার ঘটনায় বাদী বিজিবি সদস্য সাহাব উদ্দিন হাইকোর্টে হাজির হয়ে লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চান এবং শিশুর বয়স বেশি দেখানোর কারণে দুঃখ প্রকাশ করেন। তার আবেদন আদালতে দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

শুনানি শেষে আদালত তাকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে সীমান্তে শিশুদের নিয়ে বিজিবিকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম দেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রকে নিম্ন আদালতে মামলার হাজিরা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন।

আদালতে শিশুসহ জামিনপ্রার্থীদের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।

উল্লেখ্য, ১৩ সেপ্টেম্বর জৈন্তাপুরের খিলাতৈল জনৈক শামসুল হকের বাঁশঝাড়ে ভারত থেকে চোরাই পথে ২০টি মহিষ বাড়িতে এনে রেখেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে তার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য যায় বিজিবি। সেখানে গিয়ে জব্দ তালিকার প্রস্তুতি নিলে হামলা করে আসামিরা ১৫টি মহিষ ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় বিজিবির নায়েব সুবেদার সাহাব উদ্দিন জৈন্তাপুর থানায় মামলা করেন।

এ মামলার আসামিরা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করে যেখানে একজন নিজেকে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র বলে উল্লেখ করেন। আসামিপক্ষের দাবি ওই শিশুর বয়স ১৯ বছর দেখানো হয়েছে।

এদিকে ২০ সেপ্টেম্বর আদালত ১০ আসামিকে জামিন দিয়ে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে ৭ অক্টোবর মামলার বাদী সিলেটের জৈন্তাপুর বিজিবি ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মো. সাহাব উদ্দিনকে তলব করেন হাইকোর্ট।

এস এ /এডিবি