ন্যাভিগেশন মেনু

সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দোষীদের বিচার হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হাসেম ফুড লিমিটেডের সেজান জুস কারখানার আগুনের ঘটনায় মামলা হবে, তদন্ত হবে এবং দোষীদের বিচার হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৮ জন আটক আছেন। গাফিলতি বিন্দুমাত্র থাকলেও কারো ছাড় নেই।

শনিবার (১০ জুলাই) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, 'এই ঘটনায় একসঙ্গে এতোগুলো লোকের প্রানহানিতে সারা বাংলাদেশ স্তব্ধ। আমরা দেখেছি প্রথমে তিনজন পরবর্তীতে মৃত উদ্ধার হয়েছে ৪৯ জন। আমাদের ফায়ার সার্ভিস কয়েকজনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। এখানে মই দিয়ে ১৭ জনকে রেসকিউ করা হয়েছে। হাশেম ফুড প্রোডাক্ট প্রতিষ্ঠানে কতো লোক কাজ করছিল সব তদন্তে বের হবে। তারা কী করছিল সকল বিষয় নিয়েই আমাদের তদন্ত কমিটি হয়েছে।'

'ডিসি তদন্ত কমিটি করেছেন এবং শ্রম মন্ত্রণালয়ও তদন্ত কমিটি করেছে। তদন্তের পরেই আমরা বলতে পারবো এখানে কী ঘটেছে,' যোগ করেন তিনি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলে, 'এটি অত্যান্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। যারা ইন্তেকাল করেছেন আমরা তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। যে দুইজন এখনও জীবিত আছেন হসপিটালে আমরা আশাকরি তারা সুস্থ হয়ে ফিরে আসবেন। তাৎক্ষণিক যা করার দরকার ছিল ডিসি তা করেছেন। আরও যা যা করা দরকার তা আমরা করবো।' 

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটা দুর্ঘটনা হয়েছে অনেকগুলো মানুষ মারা গেছেন। এখানে মামলা হবেই। মামলা হবে তদন্তও হবে। যারা সামান্যতম দোষী তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনা হবে। তদন্তের দোষী কেউ ছাড় পাবে না। 

মন্ত্রী আরও বলেন বলেন , প্রথমতঃ ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, ডিসি, ইউএনও তাৎক্ষণিকভাবে এখানে এসেছেন। ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধারও করেছে। তাদের বেগ পেতে হয়েছে আগুন নেভাতে।'

তিনি বলেন, 'আটজনকে আটক করা হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের সংশ্লিষ্টতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'এখানে শিশু শ্রমিকও থাকতে পারে, বিল্ডিং তৈরির ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা তদন্তের আগে কিছু বলতে পারবো না। তদন্তে সব বের হবে এবং কেউ ছাড় পাবে না।'

বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ২৯ ঘন্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে আগুন। তবে এ সময়ের মধ্যে ঝরে গেছে ৫২টি প্রাণ। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।

এমএইচএস/এডিবি/